ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ফ্যাটি লিভার? এই ভুলগুলি অবশ্যই করবেন না!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

শরীর সুস্থ রাখার জন্য লিভারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশেষ অঙ্গটি শরীরের অভ্যন্তরে ঘটে চলা নানান জরুরি কাজের প্রধান অনুঘটক। তাই লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা খুবই দরকারি। তবে বর্তমান জীবনযাত্রা এই কার্যকরী অঙ্গটির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এতে লিভারের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে ফ্যাটি লিভার হচ্ছে লিভারের একটি অন্যতম রোগ। কারণ এটি নীরবে-নিভৃতে লিভারকে অকেজো করে জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

লিভারের গুরুত্ব

শরীরে প্রোটিন তৈরি থেকে শুরু করে, খাবার হজম, শক্তি উৎপাদন, উৎসেচক উৎপাদন, কার্বোহাইড্রেট জমা করে রাখার মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার।

ফ্যাটি লিভার কী?

নামেই মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে সমস্যা সম্পর্কে। এই অসুখে আক্রান্ত রোগীর লিভারের উপরে ফ্যাট জমে। এই ফ্যাট জমার ফলে লিভার নিজের কাজ ঠিক মতো করতে পারে না।

ফ্যাটি লিভার রোগটি দুই ধরনের হয়- অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। 

মদ্যপান থেকে হয় অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। অপরদিকে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের পেছনে জীবনযাত্রার নানান ভুলভ্রান্তি থাকে। এই রোগ লিভার সিরোসিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়।

ফ্যাটি লিভার থাকলে যেই ভুলগুলি করা যাবে না

>ওজন বেশি থাকলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। তাই ফ্যাটি লিভার থাকলে ওজন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে ওজন কম করলেই সমস্যা অনেকটা মিটে যায়। তাই নিজের ওজন যাতে স্বাভাবিক থাকে সেই বিষয়টায় জোর দিন। এক্ষেত্রে ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করুন।

>ফ্যাটি লিভার থেকে বাচতে চাইলে কোনভাবেই তেলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। তেল যুক্ত খাবারে থাকা ফ্যাট শুধু ওজনই বাড়ায় না। পাশাপাশি লিভারের উপরও জমে। তাই এই অসুখ থাকলে তেল খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে।

>মদ লিভারের জন্য খুবই খারাপ। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভারের কারণই মদ্যপান। অপরদিকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে মদ্যপান। তাই মদ্যপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। দেখবেন ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেকটাই কমেছে।

>একবার ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়লে সতর্ক থাকতেই হবে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, রোগ থাকা অবস্থায় প্রতি ১ মাস অন্তর লিভার এনজাইম পরীক্ষা করতে হবে। আর সমস্যা কমে যাওয়ার পর প্রতি বছর ১ বার করে এই টেস্ট করতে হবে।

সূত্র: এই সময়
এমএম/এসবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি