ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী দইয়ের সুনাম নষ্ট করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা, নজরদারি বাড়ানোর দাবি স্থানীয়দের

প্রকাশিত : ১৫:০৬, ৯ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১৫:০৬, ৯ জুলাই ২০১৬

বগুড়ার দইয়ের পরিচিতি দেশের গণ্ডী পেরিয়ে ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে ছড়িয়েছে। প্রায় আড়াইশ’ বছর আগে থেকে এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে এই দইয়ের খ্যাতি। এদিকে, অতি মুনাফার লোভে নিম্নমানের দই বানিয়ে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী দইয়ের সুনাম নষ্ট করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এ জন্য নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দই ছাড়া ভোজন রসিকদের খাবারের তালিকা পূর্ণ হয় না। এক্ষেত্রে বগুড়ার দই হলে তো কথাই নেই। বগুড়ার শেরপুরে এ দইয়ের রেওয়াজ প্রায় আড়াইশ’ বছর আগের। সে সময়ে এই দইয়ের নামই ছিল নবাববাড়ীর দই। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাব পরিবারের কাছে এই দই নবাবি খাবার হিসেবেই পরিচিতি পায়। আর এই দই তৈরি করেছিলেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গোয়ালা গৌর গোপাল পাল। দই খুব সুস্বাধু হওয়ায় গোপালের সরবরাহ দই ধীরে ধীরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দই তৈরিতে দরকার খাঁটি দুধ আর চিনি। অভিজ্ঞ কারিগরের দক্ষ হাতের ছোঁয়া পেলে পূর্ণতা পায় স্বাদে-গুনে। কালের বিবর্তনে স্বাদের বৈপরিত্যের কারণে দইয়ের বহুমুখী ব্যবহারও শুরু হয়। টক দইয়ে যেমন মেজবানের রান্না হয়, তেমনি তৈরী হয় ঘোল। আর মিষ্টি দইয়ে চলে অতিথি আপ্যায়ন। দই জমে যাওয়ার পর চলে যায় বিভিন্ন দোকানে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ বগুড়া এলে এখানকার দই’র স্বাদ না নিয়ে ফিরে যেতে পারেন না। নিয়ে যান প্রিয়জনের জন্যও। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইদানিং নিম্নমানের দই তৈরী করে বগুড়ার দই এর সুনাম ক্ষুন্ন করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাই, এদের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রশাসনের তদারকি চেয়েছেন তারা।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি