বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতিষ্ঠিত খোকসা জুবিলী ব্যাংক নিলামে
প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ৬ আগস্ট ২০২৩
বহুল আলোচিত কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জুবিলী ব্যাংকের কিছু অংশ প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে প্রকাশ্য ডাকে ১৬ জন গ্রাহকের উপস্থিতিতে এই নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
সর্বোচ্চ দরদাতা আলহাজ্ব মোঃ আমিরুল ইসলামকে ৮৮ লাখ টাকার বিনিময়ে জানিপুর বাজারের ২টি দোকান (১৩ ফিট বাই ১০ ফিট ৬ ইঞ্চি) বিক্রয় হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ব উল্লেখিত দুটি দোকান ও ৮২ শতাংশ জমির নিলামের দরপত্র আহবান করা হয়। শনিবার সকালে প্রকাশ্য দরপত্রে শুধুমাত্র দুটি দোকানের দরপত্র ১৬ জন আবেদন করেন। কমলাপুর মৌজায় ৮২ শতাংশ জমির কেউ আবেদন না করায় বিষয়টি অমীমাংসিত অবস্থায় বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বে উক্ত নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠানে অন্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট ফারিয়া রহমান আহমেদ কবির চৌধুরী তন্ময়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হায়দার আলী, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী জজ এস এম আজহারুল ইসলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামছুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ১৯১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত একমাত্র প্রধান কার্যালয় সম্মিলিত জুবিলী ব্যাংক লিমিটেডের দীর্ঘ পদপরিক্রমায় গ্রাহকের আস্থা এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে পরিচালিত সঠিকভাবে না করতে পারায় রাষ্ট্রপতির আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ব্যাংকটি দেউলিয়া ঘোষণা করার পর শনিবার দুপুরে খোলা ডাকের মাধ্যমে নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতের মাধ্যমে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর তিন খুনি জুবলী ব্যাংকের মালিকানায় ছিলেন । তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল (অব) ফারুক, কর্নেল (অব) রশিদ এবং মেজর বজলুল হুদা।
সে সময় খোকসায় সর্বপ্রথম জুবিলী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন