ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য ডাকবাংলো সংরক্ষণের উদ্যোগ (ভিডিও)

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫০, ৬ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:৫১, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

গোপালগঞ্জের সিন্দিয়া ডাকবাংলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহু স্মৃতি। এই ডাকবাংলোয় অনেক রাত কেটেছে বঙ্গবন্ধুর। স্মৃতি রক্ষার পাশাপাশি প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নিয়ে এগুচ্ছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।  

সংগ্রামী জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কারাগারে থাকতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

বিভিন্ন সময় আদালতে হাজিরা ও রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুকে ফরিদপুরসহ আশপাশের এলাকায় যেতে হতো নৌকায়। যাত্রাপথে রাত্রিযাপন করতেন এই ডাকবাংলোয়। 

নদী পাড়ের এই ডাকবাংলোয় বসে বঙ্গবন্ধু স্থানীয় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বসতেন। সে সময়ে ডাকবাংলোটিতে ছিল শনের চালা আর টিনের বেড়া। এখনও রয়েছে জাতির পিতার ব্যবহৃত একটি চেয়ার। 

স্থানীয় রাজনীতিবীদরা জানান, লঞ্চ ও জাহাজ ছিল, পরবর্তীতে গয়না। বঙ্গবন্ধু এখানে এসে তখন থাকতেন। শৈশব থেকে যৌবন, যৌবন থেকে জীবনের শেষ প্রান্তেও এই জায়গাটিকে তিনি ভুলেননি।

২০২১ সালে ঐতিহাসিক ডাকবাংলোটি সংরক্ষণ ও সংস্কারে কাজ শুরু করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। নেয়া হয় ‘সিন্দিয়াঘাট জাদুঘর কমপ্লেক্স’ নির্মাণ প্রকল্প। 

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, “জাতির পিতার স্মৃতিধন্য একটা জায়গা, এই জায়গাটিকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে সংরক্ষণের জন্য স্মৃতি জাদুঘর হিসাবে আমাদের প্রচেষ্টা শুরু।”

ডাকবাংলোর আগের আদল রেখেই নির্মাণ করা হবে জাতির পিতার ম্যুরাল ও সার্কিট হাউস, শিশু পার্ক। 

সিন্দিয়াঘাট ডাদুঘর কমপ্লেক্সের আর্কিটেকচার মঞ্জুর কে এইচ উদ্দিন বলেন, “মূলত বঙ্গবন্ধু এখানে রাতে থেকেছেন। রাতে থাকাটাকে কেন্দ্র করে এই জায়গার রাতের সৌন্দর্যটা কেউ যদি ওই সময়টার মতো করে উপভোগ করতে চায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।”

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য স্থানটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি