বঙ্গবন্ধু মানুষের প্রাণের স্পন্দন বুঝতেন
প্রকাশিত : ২০:৩৬, ১৯ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৩:০১, ২১ মার্চ ২০১৯
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন,‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর সঙ্গে অন্য কারো তুলনা চলে না। তিনি রাজনীতির কবি ছিলেন। তৃণমূলের মানুষের প্রাণের স্পন্দন বুঝতেন।
তিনি বলেন, তিনি অসহায়, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি শোষিত মানুষের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। এজন্য তিনি ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবেন।
মঙ্গলবার বিকালে প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে ‘মানবিক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রগতির চাকা পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা আসার পর দেশে স্বর্ণযুগ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষমতা হারায় দলটি। কিন্তু আবার ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে দিকে নিয়ে গেছেন। সেই সাথে প্রগতির চাকা সামনের দিকে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা দিচ্ছে। তাছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে। গ্রামের হত দরিদ্র মানুষের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী কাউকে আশ্রয়হীন রাখবেন না। যার দুই শতক জমি আছে তাদেরকে সরকারের পক্ষে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আবাসন ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ আরও দশ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশ সমৃদ্ধি পথে এগিয়ে যাবে। যার ফলে আমরা এশিয়ার বুকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারব।
এছাড়া কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফয়সাল আহসানউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস স্বাগত বক্তব্য এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কেআই/