ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেতে দীর্ঘ ৩৫ বছরের অপেক্ষা (ভিডিও)

শাকেরা আরজু

প্রকাশিত : ১২:৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৩ | আপডেট: ১২:৩৩, ১৮ আগস্ট ২০২৩

১৯৭৫ থেকে ২০১০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিচার পেতে দীর্ঘ ৩৫ বছরের অপেক্ষা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল, মামলা, তদন্ত থেকে শুরু করে প্রতিটা পর্যায়ে ছিলো অগুনতি বাধা। অবশেষে রায় কার্যকরের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হয় জাতি।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর যাদের মামলা করার কথা, তাদের কারো সাহস হয়নি। থানায় গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম; তবে মামলা নেয়নি ধানমণ্ডি থানা।

কালাআইন করে বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয় তখন। তবে এর ৫ বছর পর ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার ঘটনায় প্রথম অনুসন্ধান কমিশন গঠিত হয়। শান্তিতে নোবেলজয়ী শন ম্যাকব্রাইডসহ চার ব্রিটিশ আইনবিদ মিলে এ কমিশন গড়ে তুলেছিলেন। তবে অনুসন্ধানের কাজে কমিশনকে বাংলাদেশের ভিসা দেয়নি জিয়াউর রহমানের সরকার।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সপ্তম জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়। 

১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন বঙ্গবন্ধুর সেই ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম। এরপর একের পর এক চ্যালেঞ্জ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাহার আকন্দ জানাচ্ছিলেন সেই সব চ্যালেঞ্জ আর পদে পদে বাধার কথা।

তিনি বলেন, এই মামলার বহু আলামত বিভিন্নভাবে নষ্ট করা হয়েছে, নষ্ট হয়ে গেছে। আমাকে অনেক হুমকি দেওয়া হয়েছে, সুদূর আমেরিকা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে মামলাটির তদন্তে  খুনি ফারুক ও রশিদের টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারসহ ৪৬ ধরণের আলামত আদালতে জমা দেয়া হয়।

এরপর ১৯৯৮ সালে ১৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।  আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলে ১২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং তিনজনকে খালাস দেয়া হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে মামলার কার্যক্রম আবারও স্থবির হয়ে যায়। 

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আবারও বিচারকার্য শুরু হয়। ২০০৯ সালে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট।  

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত কর্নেল ফারুক, মেজর বজলুল হুদা, মেজর শাহরিয়ার রশিদ, এ কে এম মহিউদ্দিন ও ল্যান্সার মহিউদ্দিনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।  দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে ধরা পড়া অন্য আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়া বাকি পাঁচজন শরীফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী, নুর চৌধুরী, আব্দুর রশীদ ও মোসলেম উদ্দিন এখনও পলাতক। আর আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় দেশের বাইরে মারা যান। 

এমএম//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি