বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা
প্রকাশিত : ১৮:১২, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৩৮, ৪ জানুয়ারি ২০১৯
সদ্য বিদায়ী বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০ হাজার ৫৫৪ কোটি ডলার (১৫.৫৪ বিলিয়ন) পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠানো এই রেমিটেন্সের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ৫৪১ কোটি টাকারও বেশি। ২০১৭ সালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এই হিসাবে ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ রেমিটেন্স বেশি এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ১২০ কোটি ২ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠান ১১৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আগের বছরের (২০১৫-১৬) চেয়ে প্রায় ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম রেমিটেন্স আসে। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এই রেমিটেন্স ওই সময় কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ (১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স আসে। এরপর প্রতিবছরই রেমিটেন্স কমে যেতে থাকে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে আড়াই শতাংশ কমে গিয়ে রেমিটেন্স আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা সাড়ে ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় এক হাজার ২৭৭ কোটি ডলারে, যা ছিল আগের ছয় অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে প্রবাসীরা ৭৪৮ কোটি ৮৪ লাখ (৭.৪৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৮০৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
এদিকে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রফতানি আয়েও সুবাতাস বইছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ দুই হাজার ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ (২০.৪৯ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে(জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মোট রফতানি আয়ের ৮৩ দশমিক ৩৪ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৭ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারই এসেছে পোশাক খাত থেকে।
এদিকে রফতানি আয় ও প্রবাসী আয় বাড়ার প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার (তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা) ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ১২২ বিলিয়ন ডলারে।
আরকে//
আরও পড়ুন