বছর গড়ায়, ঠিক হয়না এনআইডি-পাসপোর্ট-জন্ম নিবন্ধনের ভুল (ভিডিও
প্রকাশিত : ১১:৪৮, ১০ নভেম্বর ২০২৩
জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কিংবা জন্ম নিবন্ধনের ভুল শোধরাতে এখনও ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। বাড়তি টাকা দিলেও অনেকে ঘুরছেন বছরের পর বছর। তারপরও দূর হয়নি তথ্য গরমিল।
কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে স্কুলে ভর্তি। তার আগে জন্ম নিবন্ধনে শিশুদের নামের বানান ও তথ্য ঠিক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা।
”গত ১৫ দিন ধরে ঘুরতেছি, আমাকে প্রথমে পাঠাইছে ডিসি অফিসে, পরে কাউন্সিলরের অফিসে অনেক রকম কাগজ জমা দেওয়ার পর আজকে পাঠাইছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে, এখন আবার পাঠাচ্ছে ডিসি অফিসে।” এভাবেই ক্ষোভ জানান একজন ভুক্তভোগী নারী।
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার চৌহাট গ্রামের নাজিম উদ্দিন আর সোহেল রানার নামের বিভ্রাট ছিল জাতীয় পরিচয়পত্রে। তার সমাধান মেলেনি গত তিন বছরেরও।
“আমাকে বলেছে সব ওকে, আপনি পেয়ে যাবেন, দুই ওয়ার্কিং ডের পর যেতে বলে। আজ এসে দেখি আমার টা রিজেক্ট করেছে। “ জানান একজন ভুক্তভোগী।
আরেক ভুক্তভোগীর কণ্ঠেও ক্ষোভ, বলেন, “আমার বাবা-মা বেঁচে আছেন অথচ ওরা বলছে মরে গেছে, এটা কিভাবে সম্ভব!”
জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কিংবা ভুলে ভরা জন্ম নিবন্ধন ঠিক করতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মুখোমুখি সাধারণ মানুষ।
”আমার নাম জহিরুল ইসলাম, কার্ডে লিখছে গহিরুল ইসলাম, এখন এইটা কিভাবে সম্ভব!” বলেন আরেক ভুক্তভোগী।
নাম নিয়ে ভোগান্তিতে আরেকজন জানান, “আমার নাম রিয়াদ মামুদ, কার্ডে দিছে রাইদ মাহমুদ।”
জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, তাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। তারপরও দূর হচ্ছে না বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কষ্ট।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান বলেন, “একটা ভুল হলে আপনারা হয়রানি হবেন। আমার কাছে আসলে আমি একটা সিল মেরে কিংবা সিগনেচার দিয়ে ঠিক করে দিবো। কিন্তু ভুল টা ধরা করবে পরবর্তীতে। তাই সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে।”
ডিজিটাল পদ্ধতিতে এনআইডি কিংবা জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বেশ আগে। এতোদিনেও কেনো অসঙ্গতি দূর হয়নি তা নিয়ে নানান ধরণের অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
এসবি/
আরও পড়ুন