বদলে গেছে পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গার ব্যবসা
প্রকাশিত : ১১:২৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১১:২৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাড়বকুন্ডের সমুদ্র উপকূলে ৩৫ বছর আগে গড়ে উঠেছিল শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড বা পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গার ব্যবসা। বর্তমান সরকার ২০১১ সালে জাহাজ ভাঙ্গার এই ব্যবসাকে শিল্প ঘোষণা করে। এরপর থেকেই দ্রুত বদলে যেতে শুরু করেছে জাহাজ ভাঙ্গার ৫০টি ইয়ার্ড। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এ শিল্পের আধুনিকায়নে হাত দিয়েছেন ইয়ার্ড মালিকরা।
পণ্য আর যাত্রী নিয়ে প্রতিবছর সাগর-মহাসাগরে ভাসে ৫০ হাজার জাহাজ। এগুলো থেকে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার জাহাজ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় সেগুলোকে স্ক্র্যাপ ঘোষণা করা হয়। স্ক্র্যাপ জাহাজ এনে তুরস্ক, চীন, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইয়ার্ডে কেটে পুনরায় ব্যবহার করা হয় রড তৈরির কাঁচামাল আর আসবাবপত্র হিসেবে।
গত বছরে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি হয় বাংলাদেশে। ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে চলছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিিিট ইয়ার্ডের আধুনিকায়নের কাজও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় এই শিল্প আধুনিকায়নের পাশাপাশি, এ নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক ইয়ার্ড মালিকরা।
একসময় জাহাজ ভাঙ্গার এই ব্যবসা ছিল আমেরিকা, লন্ডনের মতো উন্নত দেশের সমুদ্র উপকূলে। সময়ের সাথে সাথে তা এখন বাংলাদেশে বিস্তৃত। সুলভ শ্রমবাজারের কারণে এ শিল্পে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেবে বলে আশাবাদ বিশেষজ্ঞদের।
গত অর্থবছরে এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন