ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বধ্যভূমি সংরক্ষণে ধীরগতি (ভিডিও)

মুশফিকা নাজনীন

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ২৬ মার্চ ২০২২

একাত্তরের বধ্যভূমি সংরক্ষণে আছে ধীরগতি, পিছিয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ। তবে বই পুস্তক ও গবেষণায় উল্লিখিত গণকবরের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি।

মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে অনেক স্মৃতি লুপ্তপ্রায়। 

ইতিহাসবিদ ও গবেষক অদ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, “গণহত্যার স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি, দখল হয়ে গেছে এবং আজকার কোথায় কি আছে সেটা বলতেও চায় না। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলাম, রিটে বলা হয়েছে যে সরকারকে প্রত্যেকটি গণকবরের স্থান, যন্ত্রণালয় এবং বধ্যভূমি- এগুলো রক্ষণ করতে হবে।”

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জানা যায়নি মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার সংখ্যা আসলে কতো? আর কী সংখ্যক গণকবর রয়েছে এদেশে। গবেষণায় এ পর্যন্ত উঠে এসেছে ৩২ জেলার চিত্র। 

১৯৭১ সালে দেশে ১৩,৬৫০টি ঘটনায় হত্যা হয়েছিল প্রায় ৩০ লাখের বেশি। বধ্যভুমি ৭২৫, গণকবর ১০০১
ও নির্যাতন কেন্দ্র ছিলো ১০৮২টি।

ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের অভিমত, জেলাওয়ারি জরিপ করলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে আরও বহুগুণ।  

মুনতাসীর মামুন বলেন, “৩২টি জেলায় ১৩ হাজার ৬৫০টি। এটা হচ্ছে ১০ বা ৫ জন থেকে একেকটা গণহত্যায় ১০ হাজার পর্যন্ত। ৬৪টি জেলায় হলে ৩০ লাখের উপর ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস। কমপক্ষে ৫ লাখ মারা গেছে শরণার্থী শিবিরে, সেটা ৩০ লাখের মধ্যে ধরা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।”

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ৩৫টি বধ্যভূমির স্মৃতি সংরক্ষণ হয়েছিল। পরবর্তীতে এই কার্যক্রম আর এগোয়নি। 

সম্প্রতি ২৮০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণের পাশাপাশি সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ হাতে নিলেও তার বাস্তবায়ন আজও হয়নি। যদিও প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। শেষ হবে ২০২৩ সালে।

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, “এটা স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটা নয়, এটা লেটেস্ট ডাটা নয়। প্রতিনিয়তই এটা ইনক্রিজ হচ্ছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে মন্ত্রণালয়।”

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যন্ত জনপদের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ হলে নতুন প্রজন্মের কাছে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যেমন প্রজ্জ্বলিত হতো, তেমনি পাকবাহিনীর নির্মমতা আর গণহত্যার ইতিহাস জানতো সর্বস্তরের জনগণ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি