বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আটা-ময়দার মিল (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিশ্ববাজারের অস্থিরতা ও গম আমদানি কমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের অনেক আটা-ময়দার মিল। বেকার হয়ে পড়ছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। আটা-ময়দা-ভূষিও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
আটা-ময়দা ও গো-খাদ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ। এখানে আটা-ময়দার মিল রয়েছে ৭২টি। রাশিয়া, ইউক্রেন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা গমের আটা-ময়দা এখান থেকে যায় দেশজুড়ে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গম আমদানি না হওয়ায় ৩৫টি মিলেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলোও ধুঁকে ধুঁকে চলছে বাড়তি দামে আনা ভারতীয় গম দিয়ে। ব্যবসা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন মিলমালিকরা।
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, “সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪২ শতাংশ গম সরবরাহ করে তারাই যুদ্ধে রত। কাজেই গম বাজারে আসছে না। আগে ১শ’ টন গম কিনতে আমাদের বিনিয়োগ করতে হতো ২৫ লাখ টাকা। এখন একই মানের গম কিনতে ৪৫ লাখ টাকা লাগে।”
লোকসান কমাতে অনেকে মিল বন্ধ রাখায় বিপাকে বেকার শ্রমিক-কর্মচারীরা।
শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, “মিলতো এক এক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুই-তিনটা মিল চলছে সারা নিতাইগঞ্জে। হাজার হাজার শ্রমিক বসে আছে। একদিন কাজ হয় সাতদিন হয় না।”
মিলগুলো ফের চালু করতে সরকারি সহযোগিতা চান ব্যবসায়ী নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ গম চাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন মৃধা বলেন, “আগে যেমন সরকারি কোটা ছিল মিলে ৪শ’ টন মাল দিতো। আমরা মিল গেটে বিক্রি করতাম। যদি সরকার খোলাবাজারে পর্যাপ্ত মাল দিতো তাহলে ক্ষুদ্র শিল্পগুলো কোনো রকমে টিকে থাকতো।”
দুঃসময়ে প্রণোদনাসহ সংকটের দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ
আরও পড়ুন