বন্যাকবলিত ৫ জেলার বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৩৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
দেশের বন্যাকবলিত পাঁচ জেলায় শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যেসব এলাকায় বন্যার পানিতে স্কুল তলিয়ে গেছে কিংবা শ্রেণীকক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে সেখানে উচু জায়গায় কিংবা বাড়িতে পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী এ নির্দেশের কথা জানান।
উত্তরাঞ্চলসহ দেশের পাঁচ জেলায় পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিন নদীগুলোতে বাড়ছে পানি প্রবাহ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের উত্তারাঞ্চেলসহ বন্যাকবলিত পাঁচ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে বা তলিয়ে গেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের আশপাশে উঁচু স্থান বা বাড়িতে ক্লাস চালিয়ে নেওয়া যেতে বলা হয়েছে। এ জন্য স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পরামর্শ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত শ্রেণী কক্ষগুলোকে পাঠ উপযোগী করে তোলা হবে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর সেগুলোকে দ্রুত মেরামত করতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, বন্যার কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, শিক্ষার্থীদের নিজেদের বাড়ি-ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবেও চ্যালেঞ্জর মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। তারা পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত। অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। এমাতাবস্থায়, পানি শুকিয়ে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে বন্যার সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজশাহী, বগুড়া, শেরপুর, জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদী তীরবর্তী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক এলকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এছাড়া ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা।
আরও পড়ুন