ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বন্যায় বিপর্যস্ত মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, ৪ জনের মৃত্যু

মো. আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে

প্রকাশিত : ১৯:২৯, ৪ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১৯:৩০, ৪ মার্চ ২০২৩

কয়েকদিনের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয অঞ্চল। জোহর, এটি সিঙ্গাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা, পাহাং, নেগারি সেম্বিলান, মেলাকা এবং সারাওয়াক রাজ্যসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। 

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় শিশুসহ চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রয়টার্স।

জোহর বারুর বাতু পাহাত জেলার ইয়ং পেং শহরের বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ নূর সাদ বলেন, আমরা নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে বর্ষার মৌসুমের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতাম। অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে বার্ষিক বর্ষা মৌসুমে মালয়েশিয়ায় বন্যা সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এই সপ্তাহের এমন বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা চিন্তার বাইরে ছিল আমাদের।

এদিকে, বন্যায় বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য ২০০ টিরও বেশি ত্রাণ আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ।

দেশটির জোহর প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এক বিবৃতিতে শনিবার (৪ মার্চ) এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র দেশটির জহুর রাজ্যের ১০টি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেগামাত, মুয়ার, তাংকাক, বাতু পাহাত, ক্লুয়াং এবং কোতা টিঙ্গিসহ মোট ১৫টি নদনদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

বন্যায় এরই মধ্যে দেশটির ১৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ডুবে গেছে। এ ছাড়া জহুর রাজ্যের সেগামাত এবং ক্লুয়াংয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে একজন করে মোট দুইজনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

এ ছাড়া দেশটির সেলাঙ্গর, পাহাং, নেগারি সেম্বিলান, মেলাকা ও সারাওয়াক রাজ্যে বন্যায় গৃহহারার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকার মানুষদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।

সেলাঙ্গরসহ দেশটির ৬টি রাজ্য থেকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন উঁচু জায়গায় খোলা হয়েছে ২০০টির বেশি আশ্রয়কেন্দ্র। বন্যাকবলিতরা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন।

দুর্গত এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে জরুরি ওষুধপত্র। দক্ষিণাঞ্চলীয় জহুর প্রদেশের দুর্গতদের জন্য ৫ কোটি রিঙ্গিত সহায়তা দিয়েছে দেশটির সরকার। 

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে নতুন নতুন এলাকা বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি