বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
প্রকাশিত : ০৯:৪১, ১৯ জুন ২০২৪
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জলমগ্ন সিলেট অঞ্চল। সুনামগঞ্জ সদরের সাথে ১২টি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা পানি পানিবন্দি মানুষের মিলছেনা পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী। মৌলভীবাজারে সব নদ নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত চার উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। পাশাপাশি নদী ভাঙনের শঙ্কাও রয়েছে।
ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে পানিবন্দি মানুষ।
উজানের ঢলে ভাসছে সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, ওসমানীনগরসহ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। সুরমা নদীর পানিতে নগরের ১০টি ওয়ার্ডের ২৫টি এলাকায় পানি ঢুকে নগরে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
পানিবন্দি সুনামগঞ্জের মানুষ। প্রায় ৭ লাখ মানুষ রয়েছেন ভোগান্তিতে। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছেন তারা। অনেকে দুই দিন ধরে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করলেও মিলছে না কোন ত্রাণসামগ্রী। নেই সেনিটেশন ব্যবস্থাও।
পাহাড়ী ঢলের পানি কিছুটা স্থির থাকলেও সুরমাসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, বন্যাকে পুঁজি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে প্রশাসন বলছে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে ক্রমশ: বাড়ছে মৌলভীবাজারের মনু, ধলাই, কুশিয়ারা, জুড়ি, কন্টিনালা ও ফানাইসহ নদ-নদীর পানি। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে পানি। নদীর অর্ধশতাতিক পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বড়লেখা উপজেলার ৪টি, জুড়ি উপজেলার ৩টি, কুলাউড়া উপজেলার ৩টি, সদর উপজেলার ৪টি এবং রাজনগর উপজেলার ২টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।
ইতোমধ্যে জুড়ি, বড়লেখা এবং কুলাউড়া উপজেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ভুক্তভোগী মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় অষুধসহ খাবার ও পানীর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন