ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বর্ণাঢ্য আয়োজনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ

গবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৩৫, ১০ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১৬:৩৮, ১০ অক্টোবর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) তে আজ বইছে খুশির জোয়ার। একাডেমিক ভবনে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা এরপর জাতীয় পতাকা ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান ও সভাপতিত্ব করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিত চন্দ।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদয়ালয় বিভাগের সম্মানিত পরিচালক মো.ওমর ফারুখ। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ শুধুমাত্র জনগণের জন্য। এই নামকরণের সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পৃক্ততা রয়েছে। ইউজিসির সকল নির্দেশনা মেনে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া এখানে খুবই স্বল্প খরচে নানা বিষয়ে পাঠদান করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন।
 
সেখানে বাংলা বিভাগের নবীন ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আজ এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বুঝতে পারছি যে এ বিশ্ববিদ্যালয় কত সংস্কৃতিমনা। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক কিছু অর্জনের বাকি আছে এখনো। 

বিশেষ অতিথি ও ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেই তার নামের যথার্থতা বুঝা যায়। তথাকথিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা, এমনকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই এখানকার পরিবেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, দেশসেবায় নেতৃত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আইন ও বিধিবিধান মেনে চলে তবে যেকোনো বিশৃংখলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে উনি উনার বক্তব্য শেষ করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘Privately managed Public university’ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তার নামের প্রতি সুবিচার করেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বাররা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক সুবিধা নেয় সেখান থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ আলাদা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও পরিবেশ থেকে শুরু করে শিক্ষাকার্যক্রম পর্যন্ত পুরোটাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই। জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য এখানে ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদ রয়েছে। পাশাপাশি কৃষি অনুষদ ও ফিশারিজ অনুষদ অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

তাছাড়া তিনি ‘The paper chase’ সিনেমাকে উদাহরণস্বরূপ টেনে বলেন, শিক্ষার্থীদের গ্রুপ স্টাডিতে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এতে করে যেমন সহজে শেখা যায়, তেমনি অনেক গুণাবলী অর্জন হয়। এগিয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগের দক্ষতা, পরিচালনার দক্ষতা এবং নেতৃত্ব গুণাবলী তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। এখানে দক্ষতা খুব প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নীতকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যপক ডা. মো. আবুল হোসেন বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসুস্থ তার জন্য এই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। আমরা তার সুস্থতা কামনা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিলাসিতা নেই যার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। আমাদের শুরু থেকেই ছয় মাসের সেমিস্টার পদ্ধতি আছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মান অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও নেই।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যদি তোমাদের জীবনের এই চারটি বছরকে কাজে লাগাতে পারো তবে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

এরপর আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব পরিদর্শন করেন। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি