‘বস্তিবাসীর জন্য ৭৫ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার’

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন ও বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে বস্তিবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৭৫ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। আজ রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স-এ সাংবাদিকদের  প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন  বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য শক্ত ও টেকসই বাড়ি নির্মাণ করবে। এই লক্ষ্যে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হবে ।

সরকার ইতোমধ্যে বস্তিবাসীদের জন্য ৫৫০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। বস্তিবাসীর জন্য মোট ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। উত্তরা এলাকায় ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঝিলমিল ও পূর্বাচল প্রকল্পে ৭৫ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে। গ্রামের মানুষও যাতে আধুনিক টেকসই আবাসন গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আবাসন নির্মাণ করার জন্য বিশেষ কর্মসুচি গ্রহণ করছে।

 তিনি আরও বলেন, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ কম। তাই গ্রামেও বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট গ্রহণযোগ্য মূল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কম  সুদে ঋণ দেয়ারও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এছাড়া মোহাম্মদপুর এলাকায় পরিত্যক্ত বাড়ি সংস্কার করে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দুষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পূর্বাচলকে একটি  স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে ৪৮ কিলোমিটার লেক তৈরি করা হচ্ছে। আবাসন নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব উপকরণ ও পরিকল্পিত নগরায়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধারের সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে এবং তখন দেশে আর বিদ্যুৎ খাটতি থাকবে না।

কেআই/টিকে