ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাঁশিতে সুরের মূর্ছনা

সোহাগ আশরাফ

প্রকাশিত : ০৯:৩৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাঁশি মানেই টান। বাঁশি মানেই সুরের মূর্ছনা। বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবের তৃতীয় দিনের মধ্যরাত ছিলো বাঁশির সুরে আচ্ছন্ন। গাজী আব্দুল হাকিম যেন সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেলেন। বাঁশি ও তানপুরার ঝঙ্কার মিলে সুরের শৈল্পিক মোহাচ্ছন্নতা তৈরি করলেন গাজী আব্দুল হাকিম।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর আবাহনী মাঠে এক মায়াবী পরিবেশ ছুঁয়ে গেল হাজারো দর্শকদের।

গাজী আব্দুল হাকিমের বাঁশির সঙ্গে এসময় তবলায় ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, তানপুরায় সামিন ইয়াসার এবং এসএম আশিক আলভি।

দলগত সেতার বাদনের মধ্য দিয়ে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের তৃতীয় দিনের আয়োজন শুরু হয়। এরপর ঘাটম ও কঞ্জিরার যুগলবন্দী নিয়ে মঞ্চে আসেন পিতা-পুত্র বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়ক রাম ও সেলভাগনেশ বিনায়ক রাম। তাদের সঙ্গে কাঞ্জিরা ও কোনাক্কল বাজিয়েছেন স্বামীনাথন এবং মোরসিংয়ে ছিলেন এ. গনেশন।

এরপর সরকারী সংগীত কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকের আঠারো জনের একটি দল খেয়াল পরিবেশন করেন।

১৮ সদস্যের ছাত্র-শিক্ষকের দলটিতে ছিলেন- আশা খন্দকার, বিটু কুমার শীল, দেবজানি দাস, ড. ফকির সুমন, জি এম সাইফুল ইসলাম, জোহরা হোসাইন, মল্লিকা ওঝা, গোলাম মোস্তফা, মমিন মিয়া, মুরাদ হোসাইন, নিউটন বৈরাগী, নিত্য গোপাল ঠাকুর, অর্বি শর্মি, শারমিন সুলতানা স্মৃতি, কৃষ্ণ গোপাল, সুমা ব্যাপারি, সুস্মিত সাহা ও তমালিকা হালদার।

এছাড়া বাঁশির আগে সরোদে দর্শক শ্রোতার মন জয় করে নেন আবির হোসেন।

অসাধারণ খেয়াল পরিবেশনের পর সরোদ নিয়ে মঞ্চে ওঠেন ভারতের প্রখ্যাত সরোদশিল্পী আবির হোসেন। এরপর বাংলাদেশের প্রখ্যাত বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম বাঁশিতে সুর তোলেন।

এরপরে পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর (ধ্রুপদ), বিদূষী কালা রামনাথ (বেহালা) এবং পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (খেয়াল) পরিবেশনা চলে ভোর ৫টা পর্যন্ত।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি