ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ এখন স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য উদাহরণ: জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

স্বাস্থ্যখাতের অভাবনীয় সাফল্য বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিণত করেছে বলে জাতিসংঘে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন সফলতায় বাংলাদেশ এখন সাশ্রয়ী উপায়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অনন্য উদাহরণ।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শুক্রবার ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য ও বৈদেশিক নীতি : উন্নত পুষ্টির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর বিশ্ব’ শীর্ষক ৭৩তম সাধারণ পরিষদের এজেন্ডাভুক্ত এক আলোচনায় এসব কথা জানান।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের ব্যাপক সাফল্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিষ্ঠানের প্রশংসার কথা উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিখ্যাত ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যকে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এক বিরাট বিস্ময় হিসেবে উল্লেখ করেছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা এ খাতকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ব্যাপক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ দারুণ ভালো করছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেকসই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ফলেই মা ও শিশুস্বাস্থ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যকৌশল, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, কম খরচের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বাস্তবায়ন, মাঠকর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কার্যকর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার দেশের স্বাস্থ্যখাতে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

গ্রামীণ ও প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ৩৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতিতে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির তিন শতাংশেরও কম ব্যয় করে নবজাতক, পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস; টিকাদান কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ আয়ুষ্কাল প্রত্যাশার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি এক হাজার জনে নবজাতক মৃত্যুহার ২৯ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার ৩৬, যা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকেই কম। পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদানের মাধ্যমে সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধ এবং যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধেও আমরা সফল হয়েছি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি