বাঘার নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা বেনাপোল থানায়
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদত হোসাইন ওরফে মতিউর রহমান (৩০) যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে হঠাৎ তিনি বেনাপোল থানার মধ্যে চলে আসেন। পুলিশকে জানান, কে বা কারা তাকে এখানে এনে ছেড়ে দিয়েছে। এখানকার কাউকে তিনি চিনেননা, নিরাপত্তার জন্য থানায় এসেছেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় আসার পর আমরা তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখে তার কাছ থেকে সব শুনে খবর দেয়া হয় রাজশাহীর বাঘা থানায়। সেখান থেকে পুলিশ এসে সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে বাঘা থানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, বুধবার সকালে শাহাদত হোসাইন বেনাপোল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ওই থানা থেকে তাকে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাকে রাজশাহীতে আনার পরই বোঝা যাবে তিনি সেখানে কীভাবে গেলেন। এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার রাত থেকে শাহাদতকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বাঘা থানায় তার বাবা আবদুল খালেক একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার বাড়ি বাঘা উপজেলার মশিদপুর গ্রামে।
শাহাদতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি এলাকায় ব্যবসা করেন। গত শনিবার ব্যবসার কাজে নওগাঁয় গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে রোববার রাতে বাড়িতে ফেরেন। সোমবার সন্ধ্যায় বাঘা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির টাকা আনতে যান। সেখান থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা নিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
মঙ্গলবার ভোরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, বাড়ির পাশে পদ্মা নদীর চরে একদল মানুষ তাকে ধাওয়া করেছে। তার মুঠোফোন বন্ধ। মশিদপুরে রাস্তার ওপর তার গায়ের চাদর ও টর্চলাইট পাওয়া গেছে।
শাহাদতের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন বলেন, বিএনপির রাজনীতি করেন বলে এমনিতেই বাড়িতে থাকতে পারেন না তার স্বামী। নানা জায়গায় থাকতে হয় তার স্বামীকে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পদ্মার চরে একদল মানুষ শাহাদতকে ধাওয়া করছিল বলে শাকিল নামের এক প্রতিবেশী জানান। তাই তারা ভয়ে আছেন। তার সঙ্গে এতগুলো টাকা ছিল। তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হলেন কি না বুঝতে পারছেন না, নাকি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটাও বুঝতে পারছেন না।
বুধবার দুপুরে শাহাদতের স্ত্রী বলেন, তাকে নোপোল পোর্ট থানায় পাওয়ার কথা শুনতে পেরেছেন। পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। বেনাপোলে শাহাদত কীভাবে গেলেন, তা বুঝতে পারছেন না তারাও। তার নামে কোনো মামলা নেই। সেখানে কেন তিনি আত্মসমর্পণ করবেন, সেই প্রশ্ন করেন তিনি।
তাকে নেয়ার জন্য রাজশাহী থেকে তার পরিবারের লোকজনও এসেছেন। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে বাঘার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
এএইচ
আরও পড়ুন