ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি পর্বে রচিত গান- কবিতা আজো প্রেরণার উৎস

প্রকাশিত : ০৯:২২, ১১ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৮:১২, ১১ মার্চ ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি পর্বে রচিত হয় অসংখ্য গান- কবিতা। একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দমনপীড়নের মুখে সেসব গান-কবিতা মনোবল জোগায় বাঙালীকে। উত্তাল দিনের ওই সব সৃষ্টিকর্ম, বাঙালীর আন্দোলন- সংগ্রামে আজো প্রেরণার উৎস। পাকিস্তানী শাসক- শোষকদের বিরুদ্ধে যখন চূড়ান্ত লড়াইয়ে বাঙালী জাতি, তখন বিপ্লবের বারুদ জ্বলে উঠে কবি- সাহিত্যিকদের কলমেও। শেকল ভাঙার গানের পাশাপাশি বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে জনতা ঘোষণা দেয়, সংগ্রাম চলবেই। অপরূপ বাংলায় শোষকের কালো থাবায় কখনো কখনো ধ্বনিত হয়েছে বেদনার সুর।   যুদ্ধবিধ্বস্ত, নিরন্ন, ক্লান্ত মানুষকে উদ্দীপ্ত রাখে মুক্তির গান। দেশোপ্রেমের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে বীর বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়ে একাত্তরের রণাঙ্গণে। যুদ্ধে অনুপ্রেরণা জোগানো সোনার বাঙলাকে পরবর্তীতে করা হয় জাতীয় সংগীত। শুধু যুদ্ধদিনই নয়, সেসময়ের স্মৃতি বাঙালীর মনের মনিকোঠায় আজো অমলিন। সেকথাই মনে করিয়ে দেয় রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে নির্মলেন্দু গুণের কবিতা। শুধু বাঙালী জাতিই নয়, পাকিস্তানী বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ আন্দোলিত করে ভিনদেশীদের হৃদয়ও। অনেকের মতো মার্কিন গায়িকা জোয়ান বায়েজের কণ্ঠেও ধ্বনীত হয় ধিক্কার। গানে গানে সারা দুনিয়াকে জানিয়ে দেন, লাখো প্রাণের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের কথা।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি