ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাজনা শুনলেই কোমর দুলত মাধুরীর!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪১, ২৭ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৪২, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

মাধুরী দীক্ষিত। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ তথা বলিউডের প্রথিতযশা অভিনেত্রী। মূলত মাধুরী নামেই অধিক পরিচিত এই নায়িকা। তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। অভিনয়ে তিনি যেমন দক্ষ, ঠিক তেমনি নাচেও। ছোট থেকেই নাকি নাচের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল মাধুরীর। কোথাও ড্রাম বা অন্য কিছু বাজতে শুরু করলেই কোমর দোলাতে শুরু করতেন নায়িকা।

ছোটবেলায় একবার যখন মায়ের সঙ্গে ট্রেনে সফর করছিলেন, তখন আচমকাই ট্রেনের মধ্যে নাচ করতে শুরু করেন তিনি। যা দেখে রীতিমত চমকে যান মাধুরীর মা। ‘জায়গায় এসে বসো’ বলে মেয়েকে ধমকও দেন তিনি। কিন্তু শরীরে যার নৃত্য খেলা করে তাঁকে কি আর আটকে রাখা যায়! যায়, না।

মাধুরী বলিউডে অভিনয়ে যতটা পোক্ত হয়েছেন, নৃত্য শিল্পী হিসেবেও সমান কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। শুধু অভিনয় দক্ষতার জন্যই দীক্ষিত পরিচিত ছিলেন না; তাঁর নৃত্যকলাও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যদি বলা হয়, কেউ মাধুরী দীক্ষিতের মতো নাচতে পারেন না- এটা হয়ত অতিশয়োক্তি হবে। কিন্তু এটা নিশ্চয়ই মানবেন, মাধুরীর নাচের তুলনা হয় না। তার ক্যারিয়ারেও সেই ছাপ দেখা যায়। দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি বার বার নাচ দিয়ে আলোচনা উঠে এসেছেন।

বলিউড গানে তার নৃত্যশৈলী ‘এক দো তিন’ (তেজাব), ‘হামকো আজ কাল হ্যায়’ (সায়লাব), ‘বড় দুখ দিনহা’ (রাম লক্ষ্মণ), ‘ধক ধক’ (বেটা), ‘চানে কে খেত মে’ (আনজাম), ‘দিদি তেরা দেবর দিওয়ানা’ (হাম আপকে হে কৌন), ‘চোলি কি পিছে’ (খলনায়ক), ‘আখিয়া মিলাও’ (রাজা), ‘মেরা পিয়া ঘর আয়া’ (ইয়ারানা), ‘কে সেরা সেরা’ (পুকার), ‘মার ডালা’ (দেবদাস) গানগুলোয় দেখা যায়। যা সকলের ভূয়সী প্রশংসা কুড়ায়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে মাধুরীর। এরপর ১৯৮৮ সালে তেজাব ছবির মাধ্যমে দর্শক মহলে বিপুল সাড়া ফেলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর সহজাত সৌন্দর্যচর্চা এবং নৃত্যকলায় সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেন।

১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি হিন্দি সিনেমার নেতৃত্বদানকারী অভিনেত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী হিসেবে একচ্ছত্র প্রাধান্য ও প্রভাব বিস্তার করেন। এসময়ে তিনি বেশকিছুসংখ্যক হিট ছবি হিসেবে রাম-লক্ষ্মণ (১৯৮৯), পরিন্দা (১৯৮৯), ত্রিদেব (১৯৮৯), কিশেন কানহাইয়া (১৯৯০) এবং প্রহর (১৯৯১)-এ অভিনয় করেন।

ইন্দ্র কুমারের ‘দিল’ (১৯৯০) ছবিতে মাধুরী আমির খানের সাথে অভিনয় করেন। ছবিতে তিনি মধু মেহরা নামে একটি ধনী ও উগ্র মেজাজের বালিকা হিসেবে রাজা’র সাথে প্রেমে পড়েন এবং তাকে বিয়ে করে বাড়ি ত্যাগ করেন। চলচ্চিত্রটি ভারতে ওই বছরের অন্যতম বৃহ‍ৎ বক্স-অফিস হিট করে এবং অনবদ্য অভিনয়ের কারণে মাধুরী প্রথম ফিল্মফেয়ার বছরের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।

‘দিল’ ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য অনুসরণ করে সাজন (১৯৯১), বেটা (১৯৯২), খলনায়ক (১৯৯৩), হাম আপকে হে কৌন (১৯৯৪) এবং রাজা (১৯৯৫) সিনেমায় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

মাধুরী বেশকিছু ছবিতে নর্তকী চরিত্রে অংশগ্রহণ করেন এবং চলচ্চিত্রে অনেক বাণিজ্যিক সাফল্য বয়ে আনেন। হিন্দী সিনেমায় অনবদ্য ভূমিকার জন্য ২০০৮ সালে ভারত সরকারের ৪র্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এসএ/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি