বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা খাত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৬, ২২ মে ২০২১
করোনাকালের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা খাত। বাড়ছে এ খাতের আকার, সেই সাথে বাড়বে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও। এবার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানালেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মসৃজনমূলক খাতে থাকবে বাড়তি নজর।
করোনার ধাক্কায় বহুদিন ঘোরেনি উৎপাদনের চাকা। কাজ হারিয়ে দুঃসময়ে বহু মানুষ। বেড়েছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। কিন্তু করোনার ধাক্কা সামাল দিতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৮শ’ ৬৫ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতের বরাদ্দ বেড়ে হয় ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।
করোনার প্রথম ঢেউ থেকে দ্বিতীয় ঢেউ- কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ফলে এ খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কিছু দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, এ খাতে বাজেট আরও বেশি বাড়াতে হবে। সেটা যাতে জাতীয় আয়ের ৩ শতাংশ বা সাড়ে ৩ শতাংশ হয় সেটা আমি মনে করি বাঞ্ছনীয়। কারণ এই লোকগুলোর প্রথমত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে কিছু কিছু কাজ এদের জন্য ব্যবস্থা করা যায়, যেমন অবকাঠামো কাজ।
বছরে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ হারে বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের। আবার দুই দফা সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। তাই এ বছর এ খাতে ২৪ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ছে। করোনার অভিঘাতে যারা কাজ হারাচ্ছেন তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চায় সরকার। তবে মানুষ যাতে কর্মবিমুখ না হয় সেদিকে নজর রাখতে চায় সরকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ছোট দোকানদার, ছোট ইন্ডাস্ট্রি বিশেষ করে হোটেল-রেস্টুরেস্ট- এখানে চাকরিচ্যুত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। নানা মহল থেকে প্রচণ্ড চাপ আছে পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যে এই টাকা যথেষ্ট নয়। আমি স্বীকার করি এই টাকা যথেষ্ট নয় কিন্তু এখানে একটা কৌশলগত দিকও আছে। এই টাকা কিন্তু জীবিকার জন্য দেয়া হচ্ছে না। এটা হলো একটা ইনসেনটিভ।
সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় ৯টি উপখাতে ১২৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করে সরকার।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন