ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাড়ির আবর্জনার সঙ্গে ফেলে দিলেন ১৪ লাখ টাকা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৮, ১ জানুয়ারি ২০২০

আমরা অনেকেই মাঝে মধ্যে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা এমন কি পুরনো কাপড়চোপড়ও ফেলে দেই। বিশেষ করে বাসা পরিবর্তন করার সময় এই কাজটি বেশি করা হয়। এ ধরনের ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে দুই একটি মূল্যবান জিনিসও কখনো কখনো বেড়িয়ে যায়। যখন এর খোঁজ পড়ে তখন মনে করা হয় ময়লার সঙ্গে সেটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে ১৪ লাখ টাকা ফেলে দেওয়া হবে তা হয়তো কেউ ভাবতেই পারেন না!

তবে ১৪ লাখ টাকার পরিমাণ অর্থ ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ড। এই দেশটির বার্নহ্যাম সৈকত এলাকায় এক দম্পতি তাঁদের মৃত আত্মীয়র বাড়িতে সাফাইয়ের কাজ করছিলেন। সেখানে তাঁরা কিছু পুরনো বাক্স পান। কাজের কিছু নেই ভেবে সেগুলো রিসাইকেল সেন্টারে দিয়ে চলে আসেন।

রিসাইকেল সেন্টারের কর্মী সেগুলো মেশিনে তোলার আগে খুলে দেখেন। দেখতে পান তার মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার ইউরো। চাইলে হয়তো তিনি সেগুলো নিজের পকেটস্থ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে সেগুলো গচ্ছিত রেখে স্থানীয় অ্যাভন অ্যান্ড সামারসেট থানায় খবর দেন। কারণ যারা এই আবর্জনা ফেলে দিয়েছে তাদেরকে তো ওই কর্মী চেনেন না, এমনকি দেখেনওনি। তাই ব্যাপারটি থানাকে জানান।

পুলিশ কর্মীরা তো এদেরকে জিনেন না। তাই বাধ্য হয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের স্মরণাপন্ন হন তারা। যে গাড়িতে করে বাক্সগুলো রিসাইকেল সেন্টারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল তার নম্বর প্লেট দেখে ওই দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁদের জানানো হয় বিষয়টি।

ওই দম্পতি জানিয়েছেন, যে বাড়ি থেকে তারা বাক্সগুলো ফেলেছেন, তার মালিক প্রায়ই এমন উল্টোপাল্টা জায়গায় টাকা-পয়সা লুকিয়ে রাখতেন। এই পুরনো এবং বাতিল বাক্সগুলোর জিনিসপত্রের নীচে লুকিয়ে রেখেছিলেন এই বড় পরিমাণের অর্থ। এমনকি তারা জানতেনও না ওই আত্মীয়ের কাছে এত টাকা ছিল।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ ওই টাকা দম্পতির হাতে তুলে দেয়। সেই সঙ্গে রিসাইকেল সেন্টারের কর্মীরও প্রশংসা করেছেন সততার জন্য। আর জনগণকে সচেতন করেছেন, এমন আবর্জনা কিংবা পুরনো জিনিস ফেলার আগে অন্তত একবার প্রয়োজনীয় কিংবা দামি জিনিস রয়েছে কি না তা দেখে নেওয়ার জন্য। 

এই কাজটি আমাদের সবারই করা উচিত। কেননা ফেলে দিলে যে আবার ফিরে পাওয়া যাবে তার কিন্তু গ্যারান্টি নেই।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি