ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বান্দরবানে পর্দা নামলো গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভালের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

বান্দরবানে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক তারুণ্যের চলচ্চিত্র উৎসব ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ’ শেষ হয়েছে। ২৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব চলচ্চিত্রের তরুণ নির্মাতাদের নিয়ে এই আসর বসে শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে পর্দা নামে এবারের আসরের।

উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে জমা পড়া বিশ্বের ১০১টি দেশের তরুণদের নির্মিত প্রায় ১৪শ’ চলচ্চিত্র। এ থেকে নির্বাচিত ৩৫টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সমাপনী আয়োজনে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করেন উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগের চেয়ারম্যান চিত্রনায়িকা ববিতা। ন্যাশনাল ক্যাটাগরির হীরালাল সেন শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্যতম বিচারক সাদিয়া খালিদ। পুরস্কার তুলে দেন চিত্রপরিচালক গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, জসীম আহমেদ, আরিফুর রহমান, ও অং রাখাইন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মং নু চিং। সঞ্চালনা করেন উৎসব প্রযোজক ও সিনেমা বাংলাদেশ-এর সভাপতি হেমন্ত সাদীক। 

গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল বাংলাদেশ-এর এই আসরে বেস্ট অফ দ্য ফেস্ট পুরস্কার পেয়েছে কাতারের ছবি ‘শাহাব’। বেস্ট ডিরেক্টর নির্বাচিত হয়েছে মেক্সিকান নির্মাতা ‘সাব্যাস্টিয়ান গ্রিসেলস্’।

বেস্ট অ্যানিমেশনের পুরস্কার পেয়েছে কানাডার তরুণ জেরি ওয়াং নির্মিত ‘মাই ট্যাগালং’। বেস্ট ডকুমেন্টারির পুরস্কার জিতেছে জাপানিজ ছবি ‘ইমপ্যাথি ট্রিপ’।

ন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে হীরালাল সেন শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে জিয়াউল হক রাজু নির্মিত ‘বাতিক বাবু’। ‘ঘোর’ চলচ্চিত্রের জন্য তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাদা আল করিম। শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মাশরুর পারভেজ।

৩০ জন তরুণ নির্মাতার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন খ্যাতনামা চিত্রপরিচালক প্রসূন রহমান, গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, আরিফুর রহমান, জসিম আহমেদ এবং চলচ্চিত্র সমালোচক ও শিক্ষক শৈবাল চৌধুরী।

প্রতিযোগিতা বিভাগের চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি আমন্ত্রিত চলচ্চিত্র বিভাগে প্রদর্শিত হয় ৩টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এগুলো হলো- মোরশেদুল ইসলামের ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, তানিম রহমান অংশুর ‘ন ডরাই’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’।

উৎসবে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চিত্রনির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, অভিনেত্রী ববিতা, নির্মাতা আবু সাইয়ীদ, প্রযোজক-পরিচালক আরিফুর রহমান, কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকের দায়িত্ব পালন করা দেশের একমাত্র নারী ফিপরেসকি সদস্য সাদিয়া খালিদ, নাট্যনির্দেশক ও অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার।

২০২১-এর নভেম্বরে কক্সবাজারে এই উৎসবের পরের আসর বসবে বলে জানান উৎসব পরিচালক জিসান মাহাদি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর উৎসবের উদ্বোধন করেন আয়োজক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি