বিএনপির আন্দোলন মানেই নৈরাজ্য সৃষ্টি: সেতুমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৫:১০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপির আন্দোলন মানেই সন্ত্রাস সৃষ্টির উস্কানি ও রাজপথ দখলের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি।”
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের জবাব দিতেই এই বিবৃতি দেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির এই চিরায়ত আচরণ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে সর্বদা বাধাগ্রস্ত করেছে। বৈশ্বিক সংকটে জনগণের পাশে না থেকে বরং তারা দেশ ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছে।”
তিনি বলেন, “বিরাজমান বৈশ্বিক সঙ্কটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশের গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের চক্রান্ত চালাচ্ছে বিএনপি। একই সাথে সঙ্কটকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে তারা আরও দেশবিরোধী ও গণবিরোধী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বিএনপির অন্তর্নিহিত ফ্যাসিস্ট চরিত্র জনগণের সামনে ফুটে উঠছে এবং তারা যে কোন উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। আর সরকারের পদত্যাগের জনবিচ্ছিন্ন দাবি করে যাচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। আন্দোলনের নামে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরাবরের মতো জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “‘সরকার বিরোধী দল দমন করছে’ বিএনপি এমন অভিযোগের আড়ালে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। দেশের যে সকল জায়গায় তারা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে সে সকল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে দমনে বিশ্বাস করে না। কারণ আওয়ামী লীগ মনে করে রাজনীতি ও ক্ষমতার একমাত্র উৎস হলো দেশের জনগণ। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা সরকারের অপরিহার্য কর্তব্য।”
বিএনপিকে সন্ত্রাস নির্ভরতা ত্যাগ করে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে কাউকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনমনে ভীতি সঞ্চার ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ সংঘটন করতে দেওয়া হবে না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় সকল ধরনের সংকট মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর আস্থা রাখে। এই সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার সরকার জনগণের প্রতি যে সকল আহ্বান জানিয়েছে জনগণ তাতে সাড়া দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি বৈশ্বিক সংকট বুঝতে অক্ষম হলেও জনগণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের মতো করে সাশ্রয়ী ও সংযমী হচ্ছে। সরকার এমন কোনো চাপে নেই যে নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন। আমরা বিএনপিকে বরাবরের মতো আহ্বান জানাবো আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের জনসমর্থন যাচাই করুন।”
সূত্র: বাসস
এসএ/
আরও পড়ুন