‘বিএনপি ও খালেদাকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে এ রায়’
প্রকাশিত : ১৬:৪১, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৪২, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন , হাইকোর্টের আদেশ আমাদেরকে পুরোপুরি স্তম্ভিত করেছে, বিস্মিত করেছে। এই অস্বাভাবিক রায়ে সরকারের ইচ্ছারই স্পষ্ট প্রতিফলন হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই রায় প্রায় নজিরবিহীন। তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে ‘নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়’ বলেই আদালতে এমন রায় এসছে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
অবশ্য হাই কোর্টের এই রায়ের পর বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি এখনও দেওয়া হয়নি।
আগের দিন জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে ৩১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন এবং ১ নভেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশনে অনশনের যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল, আপাতত সেটাই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় জজ আদালত গত ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল ও দুদকের রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যে মামলায় আজ খালেদা জিয়াকে এ সাজা দেওয়া হলো, সেই মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা কখনোই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা নেই। নিম্ন আদালতেই এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে, আমাদের আইনজীবীরা বার বার বলেছে। সেই মামলায় আজ উচ্চ আদালতে সাজা বাড়ানো হল।
ফখরুল আরও বলেন, সরকার বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে ‘নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়’ বলেই আদালতে এমন রায় এসছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাও এখানে কাজ করছে। যে কারণে চরমভাবে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে এ ধরনের সাজা প্রদান করা হচ্ছে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ সিনিয়র নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।
এসএইচ/
আরও পড়ুন