ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিএনপি নেতা হেলাল ও মামুনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৪:১০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল এবং কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান মামুনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ধরে নিয়ে গেছে বলে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

আজিজুল বারী হেলালের ভাগ্নে পি হক জানান, বুধবার রাতে ছোট মামা নামাজ পড়ে বাসা (মগবাজার ওয়ার‌লেস) থেকে বের হওয়ার সময় তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে আরও পাঁচজনকে ডিবি নিয়ে গেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাসান মামুনকে তাঁর শান্তিনগরের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম। হাসান মামুনের মামা মিজানুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে কিছু লোক বাসা থেকে নিয়ে যায়। হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ শেষ হওয়ায় আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন। রায়ের দিন ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন। আর এর ফলে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এর মধ্যেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় বিএনপির কর্মীরা পুলিশের প্রিজনভ্যানে উঠে পুলিশের হাতে আটক দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। ফলে ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর এর পরই শুরু হয় নেতাদের গ্রেপ্তার ও বাসায় বাসায় তল্লাশি অভিযান।  

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি