ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি লাশের রাজনীতি করতে চায়: শেখ পরশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি এদেশের রাজনীতির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের পুরোনো কৌশল লাশের রাজনীতি করতে চায় এবং বিদেশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। বিএনপির এই অপরাজনীতি সফল হতে দিবে না যুবলীগ।

তিনি বলেন, যুবলীগ রাজপথেই থাকবে, তাদের সকল চক্রান্তের জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন সিরিয়াস না, নির্বাচনের নামে যা দেখছেন তা সবই তাদের ভাওতাবাজি। কারণ তাদের দুই নেতাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, নির্বাচনে যাওয়ার সক্ষমতা তাদের নেই। এই কারণেই আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনকে নস্যাত করার জন্য তারা মাঠে নেমেছে, অস্ত্রের মহড়ার মাধ্যমে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা করছে। তাই আমি বলতে চাই-উন্নয়নশীল বাংলাদেশে, উন্নয়নের অগ্রযাত্রার বাংলাদেশে কোন ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। যারা জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে তাদেরকে যুবলীগ রাজপথেই কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ও ১১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় ‘পদযাত্রা’র নামে বিএনপি-জামাত সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের উপর হামলা, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে। 

তারই প্রতিবাদে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এবং বিকাল ৪টায়, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে ফার্মগেইট, যুবলীগ চত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশসমূহে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণে সভাপতিত্ব করেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণে সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, উত্তরের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, তিনি তার কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন এই দেশের উন্নয়ন শুধুমাত্র শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই হতে পারে এবং সেই ত্যাগ তিতিক্ষা শিশুকাল থেকেই তিনি তার পিতার মাধ্যমে অর্জন করেছেন। বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতার জন্য যেভাবে ত্যাগ স্বীকার করেছেন ঠিক সেই একইভাবে এদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। পিতার কারণেই এদেশের জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার যে দায়িত্ববোধ তা আর কোন সরকার দেখাতে পারে নাই। আজকে বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলেন এবং অপপ্রচারের মাধ্যমে জনবান্ধব জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার বিভিন্ন রকম অপচেষ্টা চলছে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মহল থেকে। 

তিনি বলেন, আজকে দেশের এই উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিএনপি-জামাত ও স্বাধীনতাবিরোধীদের পছন্দ হচ্ছে না। এভাবে বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে বিদেশীদের কাছ থেকে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের প্রতিটা নেতাকর্মীদেরকে সাদাকে সাদা এবং কালাকে কালা বলতে হবে। তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আদর্শিক ভিত্তি লাভ করবো। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন স্পষ্টবাদী বলে পরিচিত ছিলেন। আইয়ুব বিরোধী এবং সকল স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা ন্যায় ও সত্যকে তুলে ধরেছেন। আমাদেরকেও সেই সত্য দ্বারা বিএনপি-জামাতের মিথ্যাকে বিতাড়িত করতে হবে। 

পরশ বলেন, আমাদের আর একটা জিনিস নিশ্চিত করতে হবে যে, এই বাংলাদেশে কেউ থাকতে চাইলে প্রথমে স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদদের পক্ষে থাকতে হবে। কোন স্বাধীনতাবিরোধীদের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই। আর এই স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের সুবিধা যারা নেয় এদেশে তাদের রাজনীতিও বন্ধ করে দিতে হবে। গণরায়ের মাধ্যমে এই বিএনপি-জামাত স্বাধীনতাবিরোধীদের সাজার আওতায় আনতে হবে। এরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে সেই অপরাধের কারণে তাদেরকে বিচার করতে হবে।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত এই দেশে ও জাতির কল্যাণ চায় না, এদেশের মানুষ ভাল থাকুক তা চায় না, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না। 

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, আজকের সমাবেশ মনে করে, বাংলাদেশের যুবসমাজ মনে করে বিএনপি-জামাত যারা করে তারা এদেশের নাগরিকই না। তারা এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। আপনারা এদেশের মানুষ না, নাগরিক না, আপনারা পাকিস্তানী প্রোডাক্ট, আপনাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। 

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নানামুখী ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রাপ্তে পৌঁছে দিয়েছিল খুনী জিয়াউর রহমান। ঠিক একইভাবে আজ তারই কুসন্তান, বিধবা বধু খালেদা জিয়া এই দেশকে নিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যখন বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় ছিল তখনও তারা ছিনিমিনি খেলেছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি