বিকালে বেনাপোল বন্দরে ঢুকছে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ
প্রকাশিত : ১৫:১২, ৫ জুন ২০২৩ | আপডেট: ১৫:২০, ৫ জুন ২০২৩
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন (৩ ট্রাক) পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে এক আমদানিকারক। বিকাল নাগাদ পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট।
সোমবার (৫ জুন) দুপুরে স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যান্য বন্দর যেমন হিলি, সোনা মসজিদ ও ভোমরা বন্দর দিয়ে যে পরিমাণ পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়। তার চার ভাগের এক ভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় বেনাপোল দিয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে। পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর থেকে ছাড়পত্রের জন্য কাজ করছে রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামের সিএন্ডএফ এজেন্ট।
সিএন্ডএফ এজেন্টের স্বত্তাধিকারী রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমদানিকারকের ৭৫ মেট্রিক টন (৩ ট্রাক) পেঁয়াজ ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে এসে পৌছেছে। এ পেঁয়াজের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে সার্টিফিকেট নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। ভারত থেকে বিকাল নাগাদ পেঁয়াজ প্রবেশ করবে বেনাপোল বন্দরে। তারপর কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকায় পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, আর কোন আমদানিকারকের পেঁয়াজ ওপারের বন্দরে নেই। তবে দুই-একদিন গেলে কিছু পেঁয়াজ বেনাপোলে প্রবেশ করবে। অনেকে ঢাকা কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) এর জন্য আবেদন করেছেন। অনুমতি পেলে ব্যাংকে এলসি খুলবেন। তারপর পেঁয়াজ আসবে। এখন পেঁয়াজ আমদানি করতে কোনো বাধা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজের বাজার ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছিল। ৩০ টাকার পেঁয়াজ ভোক্তাদের কিনতে হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ আমদানি না করা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা দাবি জানানোর পর পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমদানির অনুমতি (আইপি) প্রদানের ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ সোমবার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করে কৃষি মন্ত্রণালয়। চাষিদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। সরকার ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ করে দেয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছিল চাষীসহ ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এক শ্রেণী অসৎ ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লোভে নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করতে থাকে। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়ে নিম্নআয়ের মানুষেরা।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, গত ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। যার কারণে এতদিন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। সামনে কোরবানি ঈদ, এই দিনে পেঁয়াজের প্রয়োজন বেশি হয়। সরকার অনুমতি দেওয়ায় এখন পেঁয়াজ আমদানি হবে এবং দাম অনেকটাই কমে আসবে।
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, পেঁয়াজ আমদানির নির্দেশনা এসেছে। আইপি দেখালে আমরা এখান থেকে সার্টিফিকেট ইস্যু করবো। ইতোমধ্যে রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট তাদের আমদানিকারকের পক্ষে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির আবেদন করেছে। পেঁয়াজ আমদানি করতে আর কোন বাধা থাকছে না বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় আজ সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাস করে নিতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন