বিজিএমইএ`র প্রতিনিধি দলের ওয়াটারবাস সার্ভিস পরিদর্শন
প্রকাশিত : ২০:৪৯, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস্ এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সহ-সভাপতি এ.এম চৌধুরী সেলিম কর্নফুলি নদীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্রুতগতি সম্পন্ন ওয়াটারবাস সার্ভিস পরিদর্শন করেন।
২৯ নভেম্বর ২০১৯, তার এ সফরে সঙ্গি হিসেবে ছিলেন বিজিএমইএ এর পরিচালকবৃন্দের মধ্যে খন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ আতিক, এনামুল আজিজ চৌধুরী, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, লিয়াকত আলী চৌধুরী, সাইফ উল্লাহ্ মুনসুর, বিজিএমইএ’র সদস্য মোহাম্মদ তসলিম, আরশাদুর রহমান, মোহাম্মদ আজম, ওয়াদুদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মোরশেদ কাদের চৌধুরী, কাজী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ ইসা সহ বিজিএমইএ’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এপ্রোচ গ্লোবাল লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেলা আবেদিন এবং এস এস ট্রেডিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাব্বাব হোসেন।
ওয়াটারবাস কর্তৃপক্ষ বিজিএমই এ এর পরিচালকবৃন্দকে এই নতুন উদ্ভাবনী ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস প্রকল্পটি পরিদর্শন করার জন্য আমন্ত্রন জানালে বি জি এম ই এ এর ২৫ সদস্যের একটি দল সন্ধা ৫.১৫ ঘটিকার সময় চট্টগ্রামের সদরঘাটস্থ ওয়াটারবাস টার্মিনালে উপস্থিত হন এবং টার্মিনালের সমস্থসুবিধা সমুহ পরিদর্শন করেন, এরপর তারা টার্মিনাল থেকে ওয়াটারবাস যোগে সন্ধা ৬ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ৬:২০ মিনিটে পতেঙ্গা ওয়াটারবাস টার্মিনালে পৌছান এবং সেখান থেকে ৩ মিনিটে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সাটলবাস যোগে বিমান বন্দর পৌছায় এতে সর্বমোট ২৫ মিনিটে তারা চট্টগ্রাম বিমান বিন্দরে পৌছান, এত অল্প সময়ে বিমান বন্দরে পৌছে তারা আনন্দিত এবং বিস্মিত হন ।
বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের সার্ভিস যা আমরা বিদেশে দেখতে পাই এবং এই প্রকল্পটি মানুষের জীবনের গতিকে আর বৃদ্ধি করবে। এ ধরনের একটি সুন্দর পদক্ষেপকে তিনি সাধুবাদ জানান এবং বি জি এম ই এ এর পক্ষ থেকে প্রকল্পটিকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাশ দেন।
উল্লেখ্য,চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক যানজট নিরসনে ’কর্নফুলী নদীতে ওয়াটার বাস সার্ভিস’ শীর্ষক একটি অত্যন্ত যুগপযোগি নতুন প্রকল্প সম্পনড়ব হয়েছে যা চট্টগ্রামের মানুষের জীবনধারাকে সহজ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা পালন করবে। প্রকল্পটি চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লি: ্এবং এস এস ট্রেডিং যৌথ ভাবে পরিচালনা করবেন।
প্রতিদিন গড়ে ৮০০০ যাত্রী চট্রগ্রাম হযরত শাহ্ আমানত আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে আগমন ও বর্হিগমন করেন। যাত্রীদেরকে প্রচন্ড যানযট উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমান বন্দর যাতায়াত করতে হয়। খুব শিঘ্রই চট্টগ্রামের টাইগার পাস থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত ফ্লাই অভার ও এক্্রপ্রেসওয়ের কাজও আরম্ভ হবে। এতে ধারনা করা যাচ্ছে যানযটের পরিমান আর ও বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে চট্রগ্রাম শহর থেকে হযরত শাহ্ আমানত আন্তজার্তিক বিমান বন্দর পৌছতে গড়ে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে। এবং প্রায়শই ভারী যানবহন চলাচলের কারনে যাত্রীদের ভোগান্তি ও ফ্লাইট ধরতে না পরার ঘটনা ঘটে থাকে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ও মারাত্বকভাবে ব্যহত হয়ে থাকে এবং লীড টাইম বেড়ে যায়।
উল্লেখিত এই যানজটের সমস্যা সমাধানের লক্ষে এবং যাত্রীদেকে নিরাপদে ৩০ মিনিটের মধ্যে বিমান বন্দরে পৌছে দেওয়ার জন্য এ বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এই ওয়াটার বাস চালূ হলে চট্রগ্রাম শহরের উত্তর ও দক্ষিনের ট্রাফিক ব্যবস্থার উনড়বতি এবং কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
যাত্রীদের অধিক সুবিধা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে ৩৭ ফিট দৈর্ঘ্য, ১১ ফিট প্রস্থ এবং ২টি ২০০এইচ.পি জাপানি ইয়ামাহা ইঞ্জিন সমৃদ্ধ ২ টি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রীত ওয়াটার বাস নির্মান করা হয়েছে যা প্রতিঘন্টায় ৩৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলাচল করতে সক্ষম হবে এবং আর ও ২ টি ওয়াটার বাস নির্মানাধীন রয়েছে যা সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যনÍ যাত্রীদের আনা নেয়া করবে, প্রতিটি ওয়াটারবাস এর ধারন ক্ষমতা ৩০ জন। এবং ২ টি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রীত বাস রয়েছে যা পতেঙ্গা জেটি থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত যাত্রীদেরকে আনা নেয়া করবে। বিমান বন্দরের ফ্লাইটের সাথে সম্বন্বয় রেখে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এ সার্ভিস চালু থাকবে।
এছাড়া সদরঘাটে একটি অত্যাধুনিক শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল টার্মিনাল ভবন নির্মান করা হয়েছে যেখানে যাত্রীগনের জন্য ওয়েটিং লাউঞ্জের ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীগন তাদের লাগেজ কাউন্টারে জমা দিলে ওয়াটারবাস কর্তপক্ষ নিজ দায়িত্বে তাদের লাগেজ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এবং বিমান বন্দর থেকে সদরঘাট পৌছে দিবেন।
আরকে//
আরও পড়ুন