বিদেশে উচ্চশিক্ষা: পরিকল্পনার উপযুক্ত সময় কোনটি?
প্রকাশিত : ১৯:০৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চান। উন্নত জীবনযাত্রা, আধুনিক পড়াশোনা এবং শিক্ষার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ এসব কারণই শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাড়ি জমাতে উদ্বুদ্ধ করছে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে পূর্ব প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন?
অনেক শিক্ষার্থীই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি শেষ করেন। এরপর শুরু করেন প্রস্তুতি। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় যদি স্নাতক ডিগ্রি চলার সময় থেকেই আপনি একটু একটু করে প্রস্তুতি নিত পারেন। তাহলে স্নাতক শেষ করে খুব অল্প সময়ে এবং সহজে আপনি উচ্চ শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমাতে পারবেন।
১. প্রস্তুতি গ্রহণ করুন আগে থেকে
যেহেতু উচ্চ শিক্ষার জন্য আপনি বিদেশে যেতে ইচ্ছুক সেহেতু আপনাকে একাডেমিক রেজাল্ট ভালো করতে হবে। এটি আপনাতে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাইরের দেশের কোন শিক্ষার্থীর বিদেশ ভ্রমণকে বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। তাই সুযোগ থাকলে বিদেশ ভ্রমণ করুন।
২. ইংরেজি চর্চা
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আপনাকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল ভাষাগত দক্ষতা যাচাই করা। আপনার যদি টার্গেট থাকে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা যাওয়ার তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার জন্য ভালো স্কোর অর্জন করতে হবে। বর্তমানে সারা-বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষার নাম হল IELTS, GRE, GMAT, TOFEL ইত্যাদি। তবে শুরুটা করতে পারেন স্পোকেন ইংলিশ দিয়ে।
৩. সিজিপিএ
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের শিক্ষার মূল্যায়ন যাচাই করা হয় সিজিপিএ দিয়ে। ভালো স্কলারশিপ পেতে হলে আপনাকে আপনার রেজাল্ট এর দিকে নজর দিতে হবে। রেজাল্ট যত ভালো হবে আপনি তত সহজে ভালো স্কলারশিপ পাবেন।
৪. রিসার্চ পেপার
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রিসার্চ পেপার। আপনি যদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে যান সেক্ষেত্রে আপনার রিসার্চ পেপার পাবলিশ থাকলে আপনি একটি ভালো স্কলারশিপ খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
৫. রিকোমেন্ডেশন
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লেটার অফ রিকমেন্ডেশনকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। মূলত আপনার সম্পর্কে জানে, আপনাকে ভালো চিনে এমন ২ থেকে ৩ জন ব্যক্তির কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন আপনার প্রয়োজন হবে। তবে অবশ্যই পরিবারের কোন ব্যক্তির কাছ থেকে আপনি রিকমেন্ডেশন না চেয়ে আপনার কোন শিক্ষক, কোন মেন্টর, কোথাও জব করলে সেক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে আপনি রিকমেন্ডেশন লেটার নিতে পারেন।
৬. এক্সপেরিয়েন্স
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এক্সপেরিয়েন্স আপনাকে বিদেশের মাটিতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করুন। বর্তমানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে বাংলাদেশে। তাই আপনি শুরু থেকে তাদের সাথে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই ভলেন্টিয়ারিং কার্যক্রম আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো স্নাতক পড়া চলার সময় থেকেই যদি চর্চা করতে থাকেন তাহলে উচ্চশিক্ষা অর্জনে বিদেশে যাওয়া আপনার জন্য খুব সহজ হয়ে উঠবে।
এসবি/
আরও পড়ুন