ঢাকা, শনিবার   ০১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিধ্বস্ত গাজায় রমজান শুরু, ধ্বংসস্তুপেই সাজসজ্জা-আমেজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গাজার জনগণের জন্য রমজান সর্বদাই উষ্ণতা, উদারতা এবং ব্যস্ত বাণিজ্যের সময়। কিন্তু এ বছর পবিত্র মাসটি এমন সময় এসেছে যখন ফিলিস্তিনের বাসিন্দারা ১৫ মাসের বিধ্বংসী ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে রিজেদের পুনরুদ্ধার করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

এত সব কষ্ট সত্ত্বেও গাজার জনগণের মধ্যে রমজান উপলক্ষ্যে শালীন সাজসজ্জার প্রদর্শনী দেখা গেছে। অস্থায়ী, স্থায়ী, বিধ্বস্ত ঘরগুলোর দরজায় দেখা মিলেছে ঝুলন্ত সাধারণ লণ্ঠন, আলোকসজ্জা। বাজারগুলোতে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সবমিলিয়ে রমজান উপলক্ষ্যে বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে বিধ্বস্ত আমেজ।

উত্তর গাজার জাবালিয়া ক্যাম্পে একটি তাঁবুতে বসবাস করা মাহদি আবু রুকবা নামে একজন জানান, সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে পবিত্র মাসকে স্বাগত জানাতে হচ্ছে। তবু সন্তানদের নিয়ে একটু আমেজে বেঁচে থাকার চেষ্টা। কয়েকটি সাধারণ সাজসজ্জা কিনেছিলাম এবং আমাদের তাঁবুর প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে দিয়েছিলাম। এবারের রমজান অন্য বছরের মতো নয়, তবে কিছু করার নেই। তাছাড়া এটি বিশ্বকে আমাদের দুঃখকষ্ট এবং আমাদের জীবনের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেওয়ার একটি উপায়।

আবু রুকবার পরিবার গত রমজানেও দক্ষিণের একটি তাঁবুতে বসবাস করছিলেন। এখন তিনি উত্তরে বসবাস করছেন। গত ১৯ জানুয়ারী ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর অনেকেই নিজস্ব এলাকায় ফিরে গেলেও তিনি অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের আক্রমণে আমাদের বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিজের অঞ্চল ছেড়ে অন্য একটি এলাকার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আছি। সন্তানদের জন্য একটি ছোট লণ্ঠন কিনেছিলাম। আশা করছি, এর নরম আভা উদযাপনের অনুভূতি জাগাবে।

গাজার ব্যবসায়ীদের জন্যও এটি চ্যালেঞ্জিং সময়। অন্য সব বছরগুলোর মতো এবার ব্যস্ত সময় যাচ্ছে না তাদের। গাজা শহরের আল সাহাবা বাজারের ব্যবসায়ী গাজী মাকতা বলেন, সত্যি বলতে জিনিসপত্র খুবই দুষ্প্রাপ্য। খাদ্য পাওয়া গেলেও রমজানের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া কঠিন। খুব কমই নতুন কোনো গৃহস্থালী সামগ্রী বা সাজসজ্জা আছে। যা পাওয়া যায় তা যুদ্ধের আগের অবশিষ্টাংশ এবং দাম খুব বেশি।

কথা হয় ৪০ বছর বয়সী মিসেস ইয়াঘির সঙ্গে। যিনি যুদ্ধে হারিয়েছেন সর্বস্ব। তিনি বলেন, যুদ্ধে সব হারিয়েছি। এখন রমজান উপলক্ষে কেনাকাটা জরুরি। কিন্তু বাজারে দাম অনেক বেশি। তাও যতটা পারা যায় চেষ্টা করছি। এগুলো দিয়েই থাকার পরিবেশটা গুছিয়ে নিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি সামনের রমজান আরও ভাল হবে। আমাদের পরিবারের সকল সদস্যরা আগের মতোই টেবিলের চারপাশে জড়ো হব।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি