বিপাকে কেরানীগঞ্জের তাওয়াপট্টির কারিগররা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:২৩, ৪ অক্টোবর ২০২০
করোনা মহামারি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে কেরানীগঞ্জের তাওয়াপট্টির কারিগরদের। তবুও ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা প্রভাবে টিকে থাকাটাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা চান তারা।
এখানকার লোহা-লক্কর পণ্যের ক্ষুদ্র শিল্পের কারিগরদের দক্ষতার কমতি নেই। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবে সরকারি-বেসরকারি সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। থালা-বাসন, তাওয়া, দা-বটি, কোদাল-কুড়াল, নাট-বল্টু, তারকাঁটা সবই তৈরি হয় কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার এই তাওয়াপট্টিতে।
জিঞ্জিরার কারিগরদের রয়েছে দেশজুড়ে সুনাম। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি যন্ত্রাংশ একবার দেখেই হুবহু বানিয়ে দিতে পারেন তারা।
সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে এখানকার ব্যবসা। এ সময়ে অনেক চড়াই-উৎড়াই দেখতে হয়েছে তাদের। তবে করোনাকালের মতো এতটা খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি কখনো।
তাওয়াপট্টির ব্যবসায়ীরা জানান, দোকান নিয়ে এখন পথে বসার অবস্থা। এর লভ্যাংশ দিয়ে ঘর ভাড়া, খাওয়া ও বাচ্চাদের লেখাপড়া চলে না। করোনার অবস্থায় খুবই খারাপ অবস্থায় কেটেছে, চলতে ফিরতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আর এখনও ততোটা ভাল নেই। তিন মাস কাজ করতে পারি নাই, তাই অনেকটাই পিছিয়ে আছি।
উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনাকালে ব্যবসা ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাওয়াপট্টি ক্ষুত্র ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আকতার জেলানী খোকান বলেন, এই ব্যবসাটা চালিয়ে রাখাটাই আমাদের মুখ্য বিষয়। এখন ব্যবসাটা চালিয়ে যাচ্ছি, মোটামুটি ভালভাবেই। এই করোনাকালের ক্ষতিটা আমরা ধীরে ধীরে পুষিয়ে নিতে পারবো।
তবে তাওয়াপট্টির ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ বলেন, যদি তারা মনে করেন কোন ধরনের সমস্যা আছে তাহলে যদি আমাদের আলোচনা করে তবেই সেই সমস্যাগুলো অনুধাবন করে উপজেলা পরিষদ থেকে কি করা যায় সেই চিন্তাটা আমরা অবশ্যই করবো।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ফের ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা চান তাওয়াপট্টির ব্যবসায়ীরা।
এএইচ/এসএ
আরও পড়ুন