বিরূপ হচ্ছে প্রকৃতি, দুর্যোগের মুখোমুখি দেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:০০, ৪ মে ২০২১
গেলো কয়েক দশক ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। বিরুপ হচ্ছে প্রকৃতি। অসময়ে বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে দেশ। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গেলো বছরের এপ্রিলে বৃষ্টি হয়েছিলো ১২৮ মিলিমিটার। আর এবছর হয়েছে মাত্র ৩৯ মিলিমিটার। এতে ফসলহানিসহ মৌসুমী ফল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানিরা।
গাছে গাছে সবুজ পাতা আর বাহারি ফুল। এ সময়ে প্রকৃতি সাজে নবরূপে। গাছে গাছে পাখির কাকলি, বুনো ফুলের ঘ্রাণ। বাংলার আবহমান রূপ ছিলো এরকমই।
অপরিকল্পিত নগরায়ন আর শিল্পায়নের ফলে এই চিত্র অনেকটাই বদলেছে। প্রকৃতি হারিয়েছে তার স্বাভাবিক রূপ। এবছর গ্রীষ্মের দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ। তাপদাহে পুড়ে গেছে ক্ষেতের ধান।
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট নগরবাসি। একটু শান্তির পরশ পেতে গাছের ছায়ায় রিক্সা থামিয়ে খানিকটা সময় জিরিয়ে নেয়া। আর অতি তেষ্টায় শরবতে চুমুক দিচ্ছেন অনেকেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গেলো কয়েক বছরের সাথে এবারের আবহাওয়ার ধরণ মিলছে না। প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টি হয়েছে অনেক কম। এতে ব্যাহত হবে কৃষিকাজ।
আবহাওয়াবিদ কাওসার পারভিন বলেন, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে মাটির আদ্রতা কমে গেছে। এই আদ্রতা কমার জন্য ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তাতে এবার ফসল কম হবে। এক্ষেত্রে সেচের ব্যবস্থা বেশি করা উচিত।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, কমতে পারে মৌসুমী ফলের ফলন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এসময় বৃষ্টি না হলে আম, লিচুর মত ফলে পোকা ধরতে পারে।
ডিইউ উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এবার আমরা যে প্রকৃতির বিধি-বিধান দেখছি, তাতে আমের ফলন, লিচুর ফলন গত কয়েক বছরের তুলনায় কমে যাওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।
প্রতিকার হিসেবে বালাইনাশক ও কৃত্রিম সেচের পরামর্শ এই উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/ এসএ/