ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৫তম মহাপ্রয়াণ দিবস আজ

প্রকাশিত : ১৮:২০, ৬ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৮:২৭, ৬ আগস্ট ২০১৬

আজ ২২শে শ্রাবণ। বিশ্বকবির ৭৫তম মহাপ্রয়াণ দিবস। চিরজীবী মানবাত্মা ও প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্যের পূজারী রবীন্দ্রনাথ কেবল তার কালের কবি নন, তিনি কালজয়ী। আমৃত্যু অকৃপণভাবে শুধু দিয়েই গেছেন বাংলা ও বাঙ্গালীকে। তার চলে যাওয়া দেহান্তর মাত্র। বহুমাত্রিক সৃষ্টিতে আজও বেঁচে আছেন কবি, থাকবেন বাঙ্গালীর মনের মণিকোঠায়। মানুষে মানুষে বিভেদ, বৈষম্য, সংকীর্ণতা দূর করে ধরণী মাঝে শান্তিরও অমিয় বাণী শুনিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। প্রকৃতি ও মানবের প্রতি চোখ মেলে তাকাতে শিখিয়েছেন কবি। আর তাই সারাটি জীবন সাধকের বেশে গেয়েছেন মানবআত্মার জয়গান। ১৮৬১ সালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের ঘর আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন ছোট্ট রবি। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রথম কবিতা "অভিলাষ" প্রকাশিত হয়। আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি; গান কবিতা ছোট গল্প উপন্যাস প্রবন্ধসহ সাহিত্যের সব শাখায় ছিলো তার অবাধ বিচরণ। প্রায় দুই হাজার গান লেখেন তিনি। ষাটোত্তর বয়সে চিত্রচর্চা শুরু করেন কবিগুরু। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের ইংরেজী অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল পান রবীন্দ্রনাথ। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে প্রত্যাখান করেন বৃটিশ সরকারের দেয়া নাইট উপাধি। জীবন সায়াহ্নে এসে সাহিত্যের নানা শাখায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান কবি। এসময় ক্রমশ বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে ওঠেন, তাঁর চেতনায় ভর করে দার্শনিক নির্লিপ্ততা। মৃত্যুকে তিনি দেখেন মহাজীবনের যতি হিসেবে। জীবন-মৃত্যু ও জগৎ-সংসার তাঁর কাছে প্রতিভাত হয় অখন্ড রূপে। তখন তিনি লেখেন...আছে দুঃখ আছে মৃত্যু বিরহ-দহন লাগে, তবুও শান্তি তবু আনন্দ তবু অনন্ত জাগে। ১৯৪১ সালে ৮০ বছর বয়সে ইহধাম ত্যাগ করা বিশ্বকবি, আছেন- থাকবেন যুগ-যুগ; বাংলা ও বাঙালীর মন-মননে, চেতনায় ও ভাবনায়।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি