বিশ্বজুড়ে ভিভো’র গ্রাহক ৩৮ কোটি
প্রকাশিত : ১৩:২১, ৯ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ২২:৩৬, ১১ মার্চ ২০২১
গতবছর সংকট সময় অতিক্রম করা সত্ত্বেও, এখন বিশ্বজুড়ে ৩৮ কোটি গ্রাহকের পরিবারে পরিণত হয়েছে ভিভো। এছাড়াও গ্রাহকদের আকাঙ্খা পূরণে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি পাঠানো এক বার্তায় এসব কথা বলেন ভিভো’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিস্টার ডিউক।
তিনি বলেন, গত বছরের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য সমস্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল। একইসাথে ফ্রন্টলাইন স্টাফ ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে দুরত্ব বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে।
গ্রাহকদের সাথে ধারাবাহিক যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের ইকো-সিস্টেমের এবং ই-কমার্স অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। এজন্য, ভিভো’র প্রতি আস্থা রাখায় আমি সকল কর্মী ও গ্রাহকদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। ভিভো সবসময় গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন সরবারহ করে।
ডিউক আরও বলেন, ভিভো গতবছর ইন্ড্রাস্টির সেরা ক্যামেরা স্মার্টফোন নিয়ে আসে। পাওয়ারফুল পারফরমেন্স, ইনোভেটিভ সল্যুউশনস, চমৎকার মোবাইল টেকনোলজির সম্বন্বয়ে তরুণ গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী অনন্য ফিচারের ওয়াই সিরিজ এবং ভি সিরিজ সফলভাবে বাজারে ছাড়ে ব্র্যান্ডটি।
উদ্ভাবন এবং কর্মীদের কঠোর প্রয়াসের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিশ্বমানের ডিজাইনারদের সম্বন্বয়ে গঠিত টিমটি বিশাল কৃতিত্বের দাবিদার। কারণ তারা তরুণ এবং ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফিচারের পরিকল্পনা করেন।
ভি২০ ফ্ল্যাগশিপ সিরিজের স্পেসিফিকেশন তুলে ধরে তিনি বলেন, ফোনের মাধ্যমেই প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির যাত্রার এ উদ্ভাবনের ইতিহাস একটি মাইলফলক। এ ফোনটি বাজারে আসার পর থেকেই ব্যাপকভাবে প্রশংসিতও হয়েছে।
বিবৃতিতে ডিউক আরও উল্লেখ করেন, গত ২৫ বছরে ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম চাহিদার বিষয়ে গভীর বোঝাপড়া তৈরিতে সক্ষম হয়েছে ভিভো। গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ এবং উদ্ভাবন সক্ষমতার সাহায্যে গ্রাহকদের নিত্য নতুন চাহিদা বুঝে বিভিন্ন ধরণের উন্নত প্রযুক্তি সম্বলিত স্মার্টফোন তৈরিতে সক্ষম এই ব্র্যান্ডটি ; আর ইতিমধ্যে এটি কাস্টোমারদের বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছে । '' মোর লোকাল, মোর গ্লোবাল " এই দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে আমরা দৃঢ়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করি ; একই সাথে আমরা স্থানীয় বাজারকে গুরুত্বরে সাথে তুলে ধরি।
ডিউক বলেন, ‘মেড-ইন-বাংলোদেশ‘ এই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে একটি মোবাইল সংযোজন প্ল্যান্ট চালু করে ভিভো। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী নিত্য নতুন উদ্ভাবনী পণ্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের একটি তারুণ্যকেন্দ্রীক ও দূরদর্শী ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছি।
ডিউক আরও বলেন, আমি ভিভো’র সব সহকর্মীদের প্রশংসা জ্ঞাপন করতে চাই। আপনাদের সাহসিকতা, দৃঢ়তা, একাত্মতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা অনন্য অবদান রেখেছেন। সংকটের এ সময়ে আমাদের ব্র্যান্ডকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা ও সহযোগিতার জন্য আপনাদের পরিবারের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।
ভিভো এবং জেইসিসের কৌশলগত অংশীদারত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মোবাইল ইমেজিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা সম্প্রতি জেইসিসের সাথে অংশীদারত্ব স্থাপন করেছি। এ যৌথ অংশীদারত্ব মোবাইল ইমেজিংয়ের আরো নতুন নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করবে ; যা বৃহৎ পরিসরে এই ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘমেয়াদের উন্নয়ন এবং সৃজনশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাতে চাই, সম্প্রতি আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ভিভো ২০২০ সালে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে পঞ্চম স্থান দখল করেছে। এছাড়াও ১১ কোটি ডিভাইস শিপমেন্টের মাধ্যমে বাজার শেয়ার ধরে রেখেছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আমরা সুন্দর আগামীর জন্য আমাদের এ উদ্ভাবনের ধারা বজায় রাখব।
আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতার জন্য সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তরুণদের পছন্দের শীর্ষের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে আমরা গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উদ্ভাবনী স্মার্টফোন নিয়ে আসার জন্য নিবেদিত।
বার্তাটিতে ডিউক সবশেষে বলেন, মোবাইল টেকনোলজির অপার সম্ভাবনাকে উন্মোচন করে আপনাদের আস্থাকে সাথে নিয়ে বচৈত্র্যিময় ফিচার ও ধারণার স্মার্টফোন আনার জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে নিরলস কাজ করে যাবো ।
আরকে//
আরও পড়ুন