ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিশ্ব মেডিটেশন দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৮, ২০ মে ২০২৪ | আপডেট: ০০:০০, ২১ মে ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

আজ বিশ্ব মেডিটেশন দিবস আজ মঙ্গলবার (২১ মে) পালিত হচছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। বৃটিশ নাগরিক উইল উইলিয়ামস এই দিনটির প্রবর্তক। বিভিন্ন দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ১৫ মে-সহ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালন করে। ২০১৯ সাল থেকে বৃটেনে ছোট আকারে ২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালন শুরু হয়।

‘নিয়মিত মেডিটেশন: সুস্থ সফল সুখী জীবন’ থিমকে সামনে রেখে ২১ মে ২০২১ আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, এশিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তে এক সাথে একই সময়ে লাখো মানুষের মেডিটেশন করার মাধ্যমে বিশ্ব মেডিটেশন দিবসকে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের সামাজিক-মানবিক সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালনে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কোয়ান্টাম। বাংলাদেশে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালনের মূল উদ্যোক্তা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই সংগঠনের উদ্যোগে এই দিনে দেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে সাংগঠনিকভাবে এবং ঘরে ঘরে ব্যক্তিগতভাবে লাখ লাখ মানুষ সম্মিলিত মেডিটেশনে অংশ নেন। দিবসটি উপলক্ষে শুধু এক দিনের আয়োজন নয়, মাসব্যাপী কোয়ান্টামের পক্ষ থেকে আয়োজিত হবে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের জন্য রচনা, চিত্রাঙ্কণসহ নানা প্রতিযোগিতার। মনের সর্বজনীন ব্যায়াম হচ্ছে ধ্যান বা মেডিটেশন। যেকোনো বয়সের মানুষ প্রতিদিনই এটি চর্চা করতে পারেন।

মেডিটেশনের নিয়মিত অনুশীলন জাগিয়ে তোলে মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্তাকে, শুভ শক্তিকে। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ হতাশা, দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর হয়। নেতিবাচক থেকে ইতিবাচকতায় বদলে যায় দৃষ্টিভঙ্গি। মন প্রশান্ত থাকলে, মমতা জাগলে পারিবারিক, পেশাগত, সামাজিক সম্পর্কগুলোও সুন্দর হয়। মানসিক চাপমুক্ত থাকা যায় বলে বাড়ে পেশাগত দক্ষতা। শুধু নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করেই একজন মানুষ পেতে পারেন প্রশান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য। এসব প্রেক্ষাপট সামনে রেখেই বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। দিনে ২০-৩০ মিনিট ধ্যানচর্চা প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক। সাথে বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস, যোগব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম, ভালো ঘুম, ইতিবাচক চিন্তা, হাসি ইত্যাদি যুক্ত হলে অসংক্রামক ব্যাধির দৌরাত্ম্য কমে যাবে। বেড়ে যাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা ও প্রাণচাঞ্চল্য। ফলে সংকুচিত হবে চিকিৎসা-ব্যয়। যা ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ফেলবে ইতিবাচক প্রভাব।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি