ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বিশ বছরেও হয়নি গবির শিক্ষার্থীদের পরিবহন ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ১৭:১৭, ১০ মার্চ ২০১৯

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা,পরিবহন শ্রমিকদের অসদাচরণ,বাসে যৌন হয়রানিসহ ধাক্কা দিয়ে ফেলে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা এখন হরহামেশায় ঘটছে। এখন পরিবহন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্নতা যেন পিছু ছাড়ছে না।

সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার বিশবছর পূর্ণ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও শিক্ষার্থীদের  জন্য এখনও ব্যবস্থা করেনি পরিবহন সুবিধা। এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় প্রশাসন কখনও পরিবহন ব্যবস্থা দিবে না। এই মর্মে ভর্তি ফরমেই বাধ্যতামূলক স্বাক্ষর নেয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

দেশে যখন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপদের সম্মুখীন, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। আর দশটা সাধারণ ঘটনার মতো পাবলিক বাসে পরিবহন শ্রমিকদের কাছে যৌন হয়রানি শিকার হওয়া যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের চিন্তা যেন পিছন ছাড়ছে না। আবার যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থী ভাড়া অর্ধেক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী বাসস্ট্যান্ডে থামতে চায়না লোকাল বাসগুলো। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বাসের দেখা মেলে। ভাড়া নিয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অভাবে বাস মালিকের দোহাই দিয়েই পরিত্রাণ পেয়ে যাচ্ছেন বাসের হেল্পার আর ড্রাইভারগণ। সাভার-আশুলিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হওয়াতে সকালে বাসে যাত্রীর প্রবল চাপ থাকে। দূর থেকে যারা সাভার বা আশুলিয়ায় আসতে চায় তারাও পরেন বিড়ম্বনায়। রাস্তায় ট্রাফিক ও মানুষের প্রচুর চাপ থাকায় অনেকেই সকালের ক্লাসে সময়মত উপস্থিত হতে পারছে না।

দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসপেক্টাস এবং ভর্তি ফরমের স্বীকারোক্তির জন্য কেউই জোর গলায় পরিবহনের দাবি তুলতে পারেননি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এখন সময়ের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ আসে ঢাকা উত্তরা,আব্দুল্লাহপুর , মিরপুর, সাভার ও মানিকগঞ্জ এলাকা থেকে।

মানিকগঞ্জ থেকে যাতায়াতকৃত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংরেজি বিভাগের ১ম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন,‘বাসা থেকে বের হয়েই প্রতিদিন সকালে বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকার পরেও সিটিং সার্ভিস বাসগুলো নিতে চায় না। বাধ্য হয়ে লোকাল বাসে উঠি তখন কেমন বিব্রত অবস্থায় পড়ি বুঝতেই পারছেন। যদি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থাকতো তবে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।

মিরপুর থেকে আগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফার্মেসী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, ‘মিরপুর থেকে ক্যাম্পাসে আসতে প্রতিদিন রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। স্টুডেন্ট ভাড়া দেই বলে, সিটিং সার্ভিস বাসগুলো নিতে চায় না। এমন অনেকদিন হয় যে ক্লাস শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে বের হলেও সময়মত পৌছাতে পারি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা করা হবে কিনা জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, দূর থেকে এসে ক্লাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। তাই প্রশাসন ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা করেনি। তবে এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে,তাই শিক্ষার্থীদের সব রকম সুবিধা করে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। আমি বিষয়টি ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিংয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বলবো।

কেআই/ 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি