ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিষধর সাপের ২০০ ছোবল খেয়েও বেঁচে আছেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৫, ২৮ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৫৬, ২৮ মে ২০১৮

মাত্র চার দিন আগে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুকে। এর মধ্যেই সেটি শেয়ার হয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি! আসলে এমনই বিচিত্র এই ভিডিও-এর বিষয়বস্তু যে, দেখলেই চমকে উঠতে হয়। এক ব্যক্তি নিজের শরীরে নিয়ে চলেছেন একের পর এক বিষাক্ত সাপের কামড়! এমন দুঃসাহসী ভিডিও দেখে নেটিজেনরা যে হাঁ হয়ে যাবেন, তা তো বলাই বাহুল্য।

কিন্তু কেনও ওই ব্যক্তি এমন আশ্চর্য বিপজ্জনক কাণ্ড ঘটাচ্ছেন, বা বলা ভাল ঘটিয়ে চলেছেন? তিনি কি কোনও নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছেন? না, তা নয়। নিছক বাহাদুরি দেখাতে এমন কাজ করেন না অপেশাদার বিজ্ঞানী টিম ফ্রিডি। মার্কিন মুলুকের উইসকনসিন-এর বাসিন্দা টিমের উদ্দেশ্য অত্যন্ত মহৎ। তার বক্তব্য— পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর দংশনের চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার খাতিরেই তিনি এমন ঝুঁকিবহুল কাজ করছেন।

৩৯ বছরের টিমের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি কিন্তু নতুন নয়। ‘বিস্ট বাডিজ’ নামের ওই পেজে ২৩ মে ভিডিওটি শেয়ার করা হলেও আসলে এটি প্রায় আড়াই বছরের পুরনো। ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, টিম প্রায় ১৬০ বার স্বেচ্ছায় সাপের ছোবল খেয়েছেন শরীরে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সংখ্যাটা ১৬০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০। গত প্রায় দু’দশক ধরে এই নিয়ে গভীর গবেষণায় মত্ত টিম। এখানেই শেষ নয়, বিষধর সাপের চিকিৎসার জন্য নিরলস নিজের শরীরে ‘বিষ’ ধারণের অন্য খেসারতও দিতে হয়েছে তাকে। স্ত্রী বেথের সঙ্গে ডিভোর্সও হয়ে গেছে তার। স্ত্রীর বক্তব্য— টিম নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের কখনই প্রাধান্য দেননি। তাই তিনি চলে গেছেন টিমকে ছেড়ে।

টিম অবশ্য এর পরেও বদলাননি। নিজের গবেষণায় মত্ত টিমের লক্ষ্য একটাই। সমস্ত বিষধর সাপের কবল থেকে যেন বাঁচানো যায় পৃথিবীর মানুষকে। 

সূত্র: এবেলা

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি