ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

‘বিসিএস পরীক্ষায় ভাইবা ৫০ নাম্বারের হওয়া উচিত’    

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪১, ৩০ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪১, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

বিসিএস পরীক্ষায় ভাইবাতে ২০০ নাম্বারের পরিবর্তে ৫০ নাম্বারের পরীক্ষা হওয়া উচিত। ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা হলে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের কর্মীদের ১৮০/১৯০ নাম্বার দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ঐ পরীক্ষাকে স্বচ্ছ পরীক্ষা বলা যায়না। তাই ৫০ নাম্বারে নিয়ে আসলে এই অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া কমে যাবে।

এভাবে নিজের মতামত তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। আজ (সোমবার) সকালে টিএসসি মিলনায়তনে ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিবেশ ও ছাত্র- শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।   

অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক এ সময় বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। এই আন্দোলনে পুলিশের আক্রমনের কোনো দরকার ছিলনা। তার আগেই সমাধান হয়ে যেতে পারত। পুলিশী আক্রমনের ভেতর দিয়ে আন্দোলন সহিংসতার দিকে চলে গেল।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নানা দিক উল্লেখ করে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, একটা আন্দোলনে যখন জোয়ার আসে তখন নানা উপাদান এসে যোগ হয়। ভিসির বাড়িতে আক্রমন করা সেই রকম একটি বিষয়। সত্যিকারের আক্রমনকারীরা এ আক্রমন করেনি।

কোটা পদ্ধতির নানা দিক উল্লেখ করে আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, শতকরা ১০ ভাগ জেলা কোটা। যখন কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয় তখন জেলা ছিল ১৭ টি। সেই ১৯৭২ সালের বাস্তবতায় কোটা দরকার ছিল। কিন্তু আজকে ৬৪টি জেলা। প্রতিটি জেলা সমান উন্নত। এখন জেলা কোটার দরকার নেই।

নারী কোটার কথা উল্লেখ করে আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, এক সময় নারীরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টী থাকলেও এখন নারীরা পিছিয়ে পড়া নয়। বিসিএস, ভর্তি পরীক্ষা, এসএসসি, এইসএসসি- সব পরীক্ষায় মেয়েরা এগিয়ে।

তিনি এ সময় আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের ৬০% কোটা। নার্সিং- এ বড় কোটা আছে। সেসব অন্য বিষয়। কারণ কোটা সংস্কার আন্দোলন গড়ে উঠেছে শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষাকে লক্ষ্য করে।

আবুল কাশেম ফজলুল হক এসময় আরও বলেন, যারা বিসিএস করে তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করে। কিন্তু একজন প্রতিবন্ধী সেক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখে? তাদেরকে অন্য সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। গত ২০ বছরে কয়জন প্রতিবন্ধী নিয়োগ পেয়েছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রসঙ্গ টেনে আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, তাদের জন্য ৫ ভাগ কোটা রাখা আছে। সরকারী হিসেবে এ দেশে ক্ষুদ্র উপজাতি আছে ৪৫ ধরণের। এরমধ্যে চাকমারা ছাড়া আর কেউ কখনো বিসিএস- এ আসেনা। মাঝে মধ্যে কদাচিৎ দু`একজন মণিপুরী, গারো পাওয়া যায়। বাকি সব চাকমা। কিন্তু চাকমারা পশ্চাৎপদ নয়। সচিবালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র চাকমাদের উপস্থিতি আছে। তাছাড়া উপজাতিদের চিরকাল উপজাতি করে না রেখে তাদের এদেশের মানুষ ভাবা উচিত।

অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাল করে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি জানেন কোনটি করা উচিত কোনটি উচিত নয়।

উল্লেখ্য কোটা বাতিল হলেও এখনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সকল শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয় এই মত বিনিময় সভায়।

আআ/এসি   

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি