ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিসিবির অভিযোগের যে জবাব বরখাস্ত হাথুরুসিংহের 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০৬, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচরণ ও আচরণবিধি ভাঙার দায়ে বাংলাদেশের প্রধান কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। ইতোমধ্যে তার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী কোচ ফিল সিমন্স নিয়োগ পেয়েছেন। তবে হাথুরুর সঙ্গে বিসিবির আনুষ্ঠিকভাবে চুক্তি বাতিল হয়েছে গতকাল। আজ (শুক্রবার) সাবেক এই কোচ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একাধিক অভিযোগের বিপরীতে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন হাথুরুসিংহে। জাতীয় দলের স্পিনার নাসুম আহমেদকে চড় মারার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, অভিযুক্ত ঘটনাটি খেলোয়াড়দের ডাগআউট বা ড্রেসিংরুমে ঘটেছিল, যেখানে বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকে। খেলার প্রতিটি মুহূর্ত সঙ্গে সঙ্গে ধারণ করে ৪০ থেকে ৫০টিরও বেশি ক্যামেরা। আমি অভিযোগকারীকে যাচাই করার সুযোগ পাইনি বা কোনও সাক্ষীও পাইনি, আদৌ যদি থেকে থাকে।’

এরপর কয়েক মাস পরে কেন ইউটিউবে সেই অভিযোগ তোলা হলো পাল্টা প্রশ্ন ছুঁঁড়ে দেন সাবেক টাইগার কোচ, ‘ঘটনাটি যতটা গুরুতর হিসেবে দাবি করা হয়েছে, আশ্চর্যের ব্যাপার যে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ওই ইভেন্টের (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) পরে দ্রুততম সময়ে টিম ম্যানেজার বা কোনো কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানায়নি। যদি অভিযোগ করাও হয়, আমি বিস্মিত যে কেন আমাকে প্রশ্ন করা হয়নি কিংবা আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি। প্রশ্ন উঠছে, কেন এটি কয়েক মাস পরে ইউটিউবে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হলো?’

এদিকে, বিসিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে হাথুরু নিয়মের বাইরে অনুমতি ছাড়াই দুই বছরে ১২৬ দিন ছুটি কাটিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহের ভাষ্য, ‘ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমি ব্যক্তিগতভাবে ছুটি নেওয়ার বেলায় সবসময় সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান উভয়ের কাছ থেকেই অনুমতি চেয়েছি এবং পেয়েছি। কোনো সময়ই বিসিবি আমাকে বলেনি যে তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বরং আমি যতবারই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি তা মঞ্জুর করেছে। তাদের অনুমতি ছাড়া আমি কখনও ছুটিতে যাইনি।’

বিবৃতিতে বিসিবির করা অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত বলেও দাবি করেছেন হাথুরু, ‘এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে আমার। নতুন সভাপতির মেয়াদের প্রথম দিনেই তিনি প্রধান কোচ অপসারণের ইচ্ছার কথা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপর আরেকজন প্রধান কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে শোকজ নোটিশ পেয়ে আমি হতভম্ব। সেখানে বলা হয়েছে যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য হাতে আছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ঘটনার ক্রমধারা এই কর্মকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।’

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি