বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেপ্তার সেই নারী চিকিৎসক, কারাগারে প্রেরণ
প্রকাশিত : ১৫:১২, ৪ নভেম্বর ২০২৩
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে আটক রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়।
পরে তাকে আদালত থেকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল ফাতেমা সিদ্দিকাকে নিয়ে যায়।
এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ডিবি ও শাহমখদুম থানা পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। তার বাড়িতে চালানো হয় তল্লাশী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখক বই ও কাগজপত্র পাওয়া যায় তার বাসায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, “সন্দেহভাজন হিসেবে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে চলতি বছরের ২৩ মে মাসে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় দায়ের করা একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শাহমখদুম থানার মামলা নং-১০ এ সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার বাড়িটিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বৈঠকেও করেন। মূলত জামায়াতের লোকজন সেখানে গোপন বৈঠক করেছে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাড়ি থেকে কিছু জামায়াতের বই ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, “ফাতেমা সিদ্দিকা আমাদের একজন সমর্থক। তিনি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন। বিনা কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাই এবং দ্রুতত তার মুক্তি দাবি করি।”
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের খ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গত ৪ এপ্রিল ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে দুদককে খবর দিয়েছিলেন ফাতেমা সিদ্দিকা।
এএইচ
আরও পড়ুন