ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বুয়েটে সাংগঠনিক কাজ শুরু করবে ছাত্রদল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ক্যম্পাসে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্রলীগ-এর নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। তবে অন্যান্য ছাত্র নেতারা বলছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হলে উগ্রবাদের জন্ম হতে পারে।

বুয়েটের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বন্ধ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়।

সামনে আসে আবরার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি স্থগিতসহ নানা দাবী। শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ জুলাই ছাত্রদল বুয়েটে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করলে আবারও আলোচনায় আসে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির বিষয়টি।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ রাজনীতি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সঙ্গে ছাত্রদল একমত নয়। কোন মহলের অপকর্মের দায় অন্যদের নয় বলেও মন্তব্য করেন ছাত্রদলের এই নেতা। 

আর ছাত্রলীগ বলছে, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি স্থগিত থাকার সিদ্ধান্ত বহাল থাকার পরও ছাত্রদলের এমন কর্মকাণ্ড নিন্দনীয়। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, প্রশাসনের কথা না শুনে তারা অছাত্র দিয়ে কমিটি করেছে। আমরা দেখেছি যে, একজনও বিশ্ববিদ্যালয়ের রানিং ছাত্র নেই। ছাত্র রাজনীতিতে অবশ্যই ছাত্ররাই রাজনীতি করবে।

বাংলাদেশ জাতীযতাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলবেন, সেটা কোন সমাধান হতে পারে না। বুয়েটে সরকার দলীয় একটি ছাত্র সংগঠনের অপকর্মের দায়ভার সমগ্র ছাত্র সংগঠনকে দিতে পারেন না। সেখানে যদি নিষিদ্ধ করতে হয় সেটা ছাত্রলীগকে করতে হবে।

তবে ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করা হয় সেখানে জাঙ্গিবাদ-উগ্রবাদের উত্থানের সম্ভাবনা প্রবল। তাই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্র নেতারা।

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বুয়েট প্রশাসনকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি যে, এই বিষয়টি যেন তারা পুনঃরায় বিবেচনা করেন। কারণ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করলে ওই জায়গাটিতে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র মাথাচাড়া দিবে।

ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না, যেখানে মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা থাকবে না, সেখানে উগ্রবাদের জন্ম হবে। আমরা কখনই চাইবো না বুয়েটের মতো স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদের জন্ম হোক।

বুয়েটের ঘটনা ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি শিক্ষা বলেও মন্তব্য করেন তারা।

 

এএইচ/এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি