বেকারত্ব দূরীকরণে প্রয়োজন বাস্তবমুখী শিক্ষা
প্রকাশিত : ১৭:৩১, ২৪ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৪৮, ২৪ জুন ২০১৯
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নতি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। একমাত্র সুশিক্ষাই পারে মানুষকে অন্ধকারাচ্ছন্ন জগৎ থেকে আলোর জগতে ফিরিয়ে আনতে। বাস্তবমুখী বা কর্মমুখী শিক্ষা একটি জাতিকে স্বর্ণশিখরে পৌঁছাতে পারে।
তবে আমাদের দেশে কর্মমুখী শিক্ষার অভাবে বাড়ছে বেকারত্বের হার এমনটাই মনে করেন ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর তুহিন আফরোজা আলম। তিনি বর্তমানে ঢাকা মডার্ন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাম্প্রতি সময়ে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক দিক নিয়ে তিনি সাক্ষাতকার দিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন একুশে টিভি প্রতিবেদক তবিবুর রহমান। তার কথায় উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের চাকরির সমস্যাসহ শিক্ষাব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি-গলদ।
তিনি মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নেওয়ার পরও চাকরি না পাওয়ার বড় কারণ মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। বর্তমানে সমাজের অনেক শিক্ষার্থী মনে করে এমএ পাশ না করলে শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমাদের সমাজ শিক্ষার মানকে গুরুত্ব না দিয়ে ডিগ্রিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এছাড়া আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা চাকরির বাজারের সঙ্গে তেমন সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এজন্যই গ্রাজুয়েশন করেও চাকরি হচ্ছে না বহু তরুণের। বাড়ছে বেকারত্ব। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে নানা অপরাধ। এর থেকে বের হয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার বিকল্প নেই।
প্রশ্ন: আমাদের দেশে অসংখ্যা শিক্ষিত লোক রয়েছে অথচ পোশাক শিল্পসহ দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বিদেশি এক্সপার্টদের বেশি বেতনে আনা হচ্ছে। কেন আমরা সে জায়গাটা নিতে পারছি না? কেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ডিগ্রি নেওয়ার পরও চাকরি মিলছে না?
তুহিন আফরোজা আলম: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা একজন শিক্ষার্থীকে একদিকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে পারছে না উদ্দোক্তা তৈরি করতে করতে। বাজারে যে ধরনের চাকরি রয়েছে, সেই ধরনের দক্ষ শিক্ষার্থী আমরা তৈরি করতে পারছি না। ফলে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির জন্য আবার নতুন করে পড়াশুনা করতে হচ্ছে। এ কারণে চাকরির বাজার অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বা হাতে কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
প্রশ্ন: জনসংখ্যার বোনাসকাল (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) অতিবাহিত করছে দেশ। অথচ সরকারি হিসেবে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি। আমরা দেশের এই বিশাল কর্মক্ষম জনশক্তিকে কেন কাজে লাগাতে পারছি না? মূল সমস্যা ও সমাধান কোথায় নিহিত?
তুহিন আফরোজা আলম: ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট একটা টেকনিক্যাল বিষয়। কারণ আধুনিক বিশ্বে শারীরিক ক্ষমতা কোনো ক্ষমতা না। এই ব্যারোমিটারটা ৬০ বছর আগে ঠিক ছিল। কিন্তু আজকে আমাদের এখানে এটা ঠিক না। কারণ এখন শারীরিক শক্তির জায়গাতে টেকনোলজিটাই বড় ব্যাপার। বহির্বিশ্ব তাদের এই সময়টাকে টেকনোলজিতে গুরুত্ব দিয়েছে। যে কারণে তারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করেছে। তারা মানুষের আয়ুস্কাল বাড়িয়েছে। তারা ১২০ বছরে বৃদ্ধ হয়। আমাদের দেশে ৬০ পেরুতেই বৃদ্ধ হয়ে পড়ি। তাই বাংলাদেশের উচিত হবে এ যুবশক্তি বা শ্রমঘণ্টা কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। সেক্ষেত্রে প্রযোজনে বহির্বিশ্বের সহযোগিতা কাজে লাগানো যায়। অতি দ্রুত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তা না হলে গায়ের শক্তি দিয়ে কিছু হবে না। বোঝা-ই বাড়বে।
প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকেন- শিক্ষা ব্যবস্থা এখন সনদ নির্ভর হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। ফলে মেধাবীরা দেশের সম্পদ হওয়ার পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। এপরিস্থিতি থেকে কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়?
তুহিন আফরোজা আলম: নৈতিক শিক্ষার মূলভিত্তি হচ্ছে পরিবার। পরিবার থেকে আমরা নৈতিক শিক্ষা লাভ করতে পারি। বর্তমানে আমাদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে নীতি-নৈতিকতা ধ্বসে যাচ্ছে। একশ’ বছর আগে আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি আজ তা পাচ্ছি না। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সুখ জিনিসটার সংজ্ঞা খুঁজে না পাওয়া। সুখটা যে নীতির ওপর, সন্তুষ্টির ওপর, আত্মতৃপ্তির ওপর নির্ভর করে সেটা অনুধাবন করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যে কারণে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শিক্ষিত হয়েও নীতি-নৈতিকতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া বর্তমান সময়ে পিতামাতারা ছেলে-মেয়েদের তেমন সময় দেয় না। যে কারণে ক্রমেই আমাদের সমাজ থেকে নৈতিকতা ধ্বংস হচ্ছে।
এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারিবারিক শিক্ষা, মমত্ববোধ, সহমর্মিতা বাড়াতে হবে। পারিবারিকভাবে অনুধাবনে আনতে হবে যে, জীবনে নীতি-নৈতিকতার মধ্যেই সুখ। মা-বাবাকে আগে পরিশুদ্ধ হতে হবে। তারপর সন্তানদেরও নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন মানুষকে বোঝানো হয় না পরার্থে জীবন দেওয়ার গল্প। অন্যের উপকারে নিজের সুখ পাওয়ার গল্প। ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই সুখ। যার কারণে শিক্ষিত হয়েও ছেলে-মেয়েরা নীতি-নৈতিকতা, অন্যের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নৈতিকতা শেখানো হয় না। তারা জিপিএ উন্নয়নে ব্যস্ত।
ছেলে-মেয়েরা ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত থাকছে। প্রতিবেশির খোঁজ নিচ্ছে না। আর সে ক্যারিয়ার হচ্ছে শুধুমাত্র নিজেকে ঘিরে। তাই আগের মতো এখন আর যৌথ পরিবারও দেখা যায় না। তথ্য-প্রযুক্তি অপব্যবহার আমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। পরস্পর যোগাযোগ ও মমত্ববোধ বিনষ্ট করছে। চারজন ঘরে থাকলে কেউ মোবাইল, কেউ টেলিভিশন, কেউ ল্যাপটপ, কেউবা একা একাই ঘুরছে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমাদের আবার ফিরে আসতে হবে আমাদের মাটির কাছে, বাঙালির সংস্কৃতির কাছে। আবার ফিরতে হবে আমাদের অতিত ঐতিহ্যের কাছে। একাডেমিক ক্ষেত্রে পড়া-লেখার ভারটা কমাতে হবে। আমি মনে করি ছেলে-মেয়েদের যুক্ত করে রাখা হয়েছে তথাকথিত পাঠ্যপুস্তকে। এটা আসলে পাঠ্যপুস্তক না, অপাঠ্যপুস্তক। এছাড়া পাঠপুস্তকে নৈতিক শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে। তাহলে আমাদের সমাজে আবার নৈতিকতা আসবে। সভ্য সমাজ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
প্রশ্ন: সমাজের নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে আমাদের করণীয় কী?
তুহিন আফরোজা আলম: প্রথমে পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পিতামাতা সবসময় সন্তানকে সময় দিতে হবে। সন্তান কি করছে, পিতামাতাকে খোঁজ নিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নৈতিক শিক্ষার প্রসার বৃদ্ধি করতে হবে। নৈতিকতা ও সামাজিক দায়িত্বে অনুশীলন বাড়াতে হবে।
প্রশ্ন: আপনি দীর্ঘদিন ঢাকা কলেজে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোন মধুর স্মৃতি যদি বলতেন?
তুহিন আফরোজ আলম: ঢাকা কলেজের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতি নিয়ে অনেক বড় বই লিখতে পারতাম। বিশেষ করে স্মরণ করতে চাই এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কথা। ক্লাস বাদ দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী মাঠে খেলতো। তবে আমাকে দেখলে তারা মাঠ থেকে ছুটে ক্লাসে চলে আসতো। এই দিনগুলো এখনও আমার স্মৃতি, আমার চোখে এখনও ভাসে। অনেক সময় কলেজের সামনে থেকে বা সাইন্সল্যাব, সিটি কলেজের সামনে থেকে হাত ধরে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতাম ক্লাসে। যতদিন ঢাকা কলেজে দায়িত্ব পালন করেছি। শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো করে লালন-পালন করেছি। ঢাকা মর্ডান কলেজকেও ঢাকা কলেজের আদলে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে চাই।
একুশে টিভি অনলাইন: ছাত্রজীবনের এমন কোনো কষ্টের স্মৃতি আছে কি- না যা বলা যায়-
তুহিন আফরোজা আলম: আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশের অর্থনীতি ভালছিলো না। বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিলো এলোমেলো অবস্থায়। এসময় আমি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে সবেমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছি। তখনকার আমাদের হোস্টেল জীবন অনেক কষ্টের ছিলো। আমি মন্নুজান হলে থাকতাম। সেখানে একবেলা রুটি একবেলা ভাত দেওয়া হতো। সেই ভাতের চালের মানও অনেক নিম্নমানের ছিল। এভাবে অনেক কষ্টে শিক্ষাজীবন শেষ করেছি।
একুশে টিভি অনলাইন: বর্তমানে আপনি কি নিয়ে ব্যস্ত আছেন ?
তুহিন আফরোজা আলম : বর্তমানে আমি ঢাকা মডার্ন কলেজে দায়িত্ব পালন করছি। ঢাকা কলেজ থেকে অবসরে যাওয়ার পরে আমি বসে থাকিনি। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে নিজেকে উৎস্বর্গ করেছি। এই কলেজকেও ঢাকা কলেজের মতো কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে নতুন আঙ্গিকে ঢাকা মডার্ন কলেজকে একটি আদর্শ ও উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আলোকিত মানুষ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে নিরলস প্রচেষ্টা। বর্তমান যুগ অসীম প্রতিযোগিতার যুগ, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিকাশের যুগ। অগ্রসরমান প্রযুক্তিনির্ভর এ যুগে জ্ঞান বিকাশের পাশাপাশি নৈতিকতার অবক্ষয় চরমে পৌঁছেছে- যা নিয়ত ভাবিয়ে তুলছে শিক্ষক, অভিভাবক তথা সচেতন ব্যাক্তিবর্গকে। এই নৈতিক অবক্ষয় রোধ ও মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজন নৈতিকতার চর্চা নিরলসভাবে কাজ করা। আমি চাই মানসম্মত একটি উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে যেখানে শুধু ভালো ছাত্র নয় বরং ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে পারে।
ঢাকা মডার্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের এই চাহিদা পূরণে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তাদের মেধা ও মনন বিকাশের লক্ষ্যে নতুন আঙ্গিক্বে কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক গড়ার মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ঢাকা মডার্ন কলেজে শিক্ষার্থীদেরকে আমরা স্বাগত জানাই।
প্রশ্ন: এই কলেজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে যদি একটু বলতেন?
ঢাকা মডার্ন কলেজে দায়িত্ব পালন করছি দীর্ঘ ২ বছর ধরে। এখানে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়েছে। এখন বর্তমানে কলেজে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা দায়িত্ব পর কলেজকে আলাদা রূপ দিয়েছি। বর্তমানে এখানে ২৫ জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছে। Skylark education Foundation এর অধিনে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হয়। নিয়মিত পাঠ পরিকল্পনা নিবীড় পর্যবেক্ষণ ক্লাসটেস্ট মাসিক পরীক্ষা,সহশিক্ষা কাজক্রম এই প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে আকর্ষণীয়।
অধ্যাপক তুহিন আফরোজা আলম, ১৯৭৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,কম পাশ করেন। ১৯৮২ সালে বগুড়া সরকারি কলেজ থেকে চাকরি শুরু করেন। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে ১৩ টা কলেজে চাকরি করেন। ২০০৯ সালে ঢাকা কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সফলভাবে দায়িত্বপালন করে সরকারি চাকরির ইতি টানেন। এরপর যোগদান করেন ঢাকা মডার্ন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তার সরাসরি নির্দেশনা ও তত্বাবধানে ঢাকা মডার্ন কলেজেটি সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। নিয়মিত ছাত্র শিক্ষকদের জন্য একজন গাইড টির্চার নির্ধারণ ও মনিটরিং আমনোযোগ শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ,সম্ভ্যাবনাময় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেরণ দান সিসি ক্যমেরা ডিজিটার কমেন্ট পাঠদান এ প্রতিষ্ঠানকে করেছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠের অধিকারী।
প্রশ্ন: মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনার ধন্যবাদ।
অধ্যাপক তুহিন আফরোজা আলম: একুশে টিভি পরিবারকে ধন্যবাদ।
টিআর/
আরও পড়ুন