ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বেনাপোলে মাটি খুঁড়ে মেলেনি লাশের সন্ধান

প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ১৩ মার্চ ২০১৯

যশোরের বেনাপোল পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ৬ বছর ধরে নিখোঁজ তারিকুল আলম তুহিনের দেহাবশেষ বাজার কমিটির অফিসের নীচে পুঁতে রাখা হয়েছে এমন সন্দেহে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা মাটি খুঁড়ে সেখানে কোন কিছু পাওয়া যায়নি।

বেনাপোল বাজার কমিটির অফিসে মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত যশোরের ম্যাজিষ্ট্রেট কাওছার হামিদ ও ঢাকা সিআইডির এএসপি উত্তম কুমারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় একটানা ৬ ঘন্টা এ অভিযান চালানো হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজার কমিটির কার্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে জানালার পাশ থেকে প্রায় উত্তর দিক পর্যন্ত ৭ ফুট খনন করা হয়। খননের গভীরতা প্রায় আনুমানিক ৬ ফুট। দীর্ঘ সময় এ অভিযান চালালেও শেষ পর্যন্ত কোন লাশের  কংকাল উদ্ধার হয়নি।

এ সময় বেনাপোল বাজার কমিটির অফিসের  সামনে নিখোঁজ তুহিনের স্ত্রীসহ হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। প্রাথমিকভাবে সবার ধারনা ছিল হয়ত নিখোঁজ তারিকুল আলম তুহিনের কংকাল উদ্ধার হবে। বাজার কমিটির এই অফিসটি আগে ছাত্রলীগের (মেয়র পন্থী) অফিস ছিল। নিখোঁজ তুহিন ছিল এমপি গ্রুপের সমর্থক।

তারিকুল আলম তুহিন ২০১৩ সালের ৭ মার্চ ঢাকার শেরে বাংলা নগরস্থ ন্যাম ভবনের সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা লাশের কংকালের তথ্য পেয়েছি। সেই সূত্র ধরে আমরা চেষ্টা করছি লাশের কংকাল উদ্ধারের। এখনো কোন কিছু পাওয়া যায়নি।

ম্যাজিষ্ট্রেট কাওছার হামিদ বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মিছিং তুহিনের কংকাল খোঁজ করে কিছু পাইনি। দুপুর ২টা থেকে আমরা কার্যক্রম শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত কোন কিছু না পেয়ে আপাতত কার্যক্রম বন্ধ করেছি। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী আমরা আবার কার্যক্রম শুরু করব। আপাতত তালা মেরে আমরা ঘরের চাবি বাজার কামিটির কাছে হস্তান্তর করছি। এ সময় প্রশাসনের সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি