ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বেলজিয়ামের বিপক্ষে কাসেমিরো ছাড়াই নামবে ব্রাজিল 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৩, ৫ জুলাই ২০১৮

ব্রাজিলের সামনে এখন বড় বাঁধার নাম বেলজিয়াম। তারকা নির্ভর বেলজিয়ামের দলের সাথে নিজেদের সেরাটা দিতে নেইমার আর কাসেমিরোই দলের অন্যতম নির্ভরতা।  

ক’দিন আগেই কথাটি বলেছিলেন ব্রাজিল দলের কোচ তিতে। যে শিষ্যকে তিনি এমন সার্টিফিকেট দিলেন, এখন তাঁকে ছাড়াই বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে। কারণ দুই হলুদ কার্ডের খড়গের কারণে  বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না দলের ‘দলের হৃৎপিণ্ড’ খ্যাত কাসেমিরোর।

নেইমার, কুতিনহো, জেসুস, পাওলিনহো  ব্রাজিলের অন্যতম তারকা। কাসেমিরোও একেবারে ছোট নাম নন, খেলেন রিয়াল মাদ্রিদে। কিন্তু হোল্ডিং মিডফিল্ডার পজিশনে খেলেন বলেই  হয়তো অনেকের বাড়তি নজর কাড়তে পারেন না। কিন্তু মাঠে তাঁকে যে সৃষ্টির চেয়ে ধ্বংসাত্মক রূপেই দেখা যায় বেশি। মাঠে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়াই তাঁর কাজ। রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করায় সবচেয়ে বড় অবদান কাসেমিরোরই।

কেননা কাসেমিরো সারা মাঠ চষে বেড়ান। তবে দুই সেন্টারব্যাকের সামনে প্রতিপক্ষের জন্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়ানোই তাঁর মূল কাজ। ব্রাজিলের বক্সে ঢুকতে তাঁর কাছেই দিতে হয় প্রথম পরীক্ষা। আবার প্রতিপক্ষ দলের মিডফিল্ডারদের কাছ থেকে বল কেড়ে প্রতি আক্রমণও তিনি রচনা করেন।

ফুলব্যাকরা ওভারল্যাপিংয়ে গেলে রক্ষণে তাঁদের শূন্যতাটা পূরণ করেন তিনি। এভাবেই নিজেকে ব্রাজিল দলের ‘হৃৎপিণ্ড’  হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কাসেমিরো। বেলজিয়ামের বিপক্ষে তাঁকে না পাওয়াটা ব্রাজিল দলের জন্য বেশ বড় দুর্ভাবনার বিষয়। তাঁর জায়গায় দেখা যেতে পারে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহোকে।

মেক্সিকোর বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখাতেই কপাল পুড়েছে কাসেমিরোর। এর আগে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেও হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি। দুটি হলুদ কার্ড দেখায় পরের ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকতে হবে রিয়াল তারকাকে। শেষ আটের আগে যে কোন দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখলে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার নিয়ম, ফিফার বেঁধে দেওয়া নিয়ম।

কেআই/এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি