‘বেলাশুরু’: এমন মানুষ ফিরে আসবে না, বললেন সোহিনী
প্রকাশিত : ১২:২৭, ২২ মে ২০২২
স্মৃতিটুকুই সম্বল, তবে থাক স্মৃতিটুকু। তারা নেই, তবু তারা আছেন তারাদের জগতে। ক্ষতি কী? যদি না থেকেও এতোটা জাগ্রত থাকা যায়! ঠিক তেমনি কথা বলছে ‘বেলাশুরু’। ভালো-খারাপের উর্ধ্বে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনীত এই সিনেমাটি।
বর্তমান সময়ের টালিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্তের মতও এক। বন্ধুদের সিনেমাটি দেখার অনুরোধ জানান সৌমিত্রকন্যা পৌলমী বসুও।
২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর অসংখ্য ভক্তকূলকে কাঁদিয়ে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৬ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত । কিন্তু ‘বেলাশেষে’ এবং ‘বেলাশুরু’র বিশ্বনাথ ও আরতি হয়ে দর্শকদের মনের মণিকোঠায় তারা অমর হয়ে রয়েছেন এবং থাকবেন।
আর এই সিনেমার প্রসঙ্গে কথা বলতে আবেগঘন হয়ে পড়েন স্বাতীলেখা কন্যা সোহিনী।
তার কথায়, “এমন মানুষ ফিরে আসবে না।”
সৌমিত্র এবং স্বাতীলেখার জন্য তিনি কতটা গর্বিত তা ভিডিও বার্তায় জানান সোহিনী। তার এই ভিডিওটি আপলোড করেন সিনেমার অন্যতম পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর মতে এমন অভিনেতাদের হলিউডে থাকা উচিত।
নৌকার মধ্যে একটি বিশেষ দৃশ্যের উল্লেখ করেন সোহিনী, যেখানে আরতি (স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর চরিত্র) মায়ের কাছে ফেরার আবদার জানাতে থাকেন।
মৃত্যুর আগে স্বাতীলেখাও একই কথা বলতেন বলেও জানান সোহিনী।
বিশ্বনাথ যেভাবে আরতির খেয়াল রেখেছিলেন, বাস্তবে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তও সেভাবে স্ত্রী স্বাতীলেখার খেয়াল রাখতেন বলে জানান সোহিনী।
আর এই সিনেমার প্রশংসা করতে গিয়ে শঙ্খ ঘোষের লেখা কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়।
ঠিক তেমনি বাবা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলাশুরু’ মন ছুঁয়ে গিয়েছে পৌলমী বসুর। সিনেমার সঙ্গে একাত্ম হতে পারছিলেন তিনি। বাবাকে ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি হচ্ছিল।
স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত কয়েকটি দৃশ্য দেখে তার গায়ে কাঁটা দিয়েছে বলেই জানান পৌলমী। এই বয়সেও যে রোম্যান্টিক নায়ক হওয়া যায়, তা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে গেলেন বলে মত পৌলমীর।
তাই আবারো সৌমিত্রকে কাছে খুঁজে পেতে সিনেমাটি দেখার অনুরোধ জানান পৌলমি তার ফেসবুকে।
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন
আরএমএ