‘ব্যাংকিং খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে’
প্রকাশিত : ২৩:৫০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রুটিমুক্তভাবে পরিচালনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. ইসরাফিল আলম উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিয়মকানুন সঠিকভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে প্রণীত ব্যাংকিং আইন বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে সংশোধন করেছে। আইনের সংশোধনীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের দায়িত্ব, কর্তব্য ও কর্মপরিধি স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত দুই দিন আগেও ব্যাংকিং আইনে আরো একটি সংশোধনী পাস করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং আইনে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও তা প্রতিপালনের জন্য পরিচালনা পর্ষদকে দায়বদ্ধ করা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালনের জন্যে পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের সমন্বয়ে অডিট ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকের জবাবদিহিতা বাড়াতে শেয়ার ধারণকারী পরিচালকদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পরিচালকের মোট সদস্য সংখ্যা ২০জন। এর মধ্যে ৩ জন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকেন। আমানতকারী ও শেয়ার ধারকদের স্বার্থ রক্ষা ও স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র পরিচালকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুহিত বলেন, আমানতকারী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছে ব্যাংকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে বার্ষিক ও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আর্থিক তথ্য রিপোর্টিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ব্যাংকসমূহের প্রধান নির্বাহীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ব্যাংক সমূহের আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আর/টিকে
আরও পড়ুন