ব্যাংক-বীমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর ২.৫ শতাংশ কমছে
প্রকাশিত : ১৪:৩৫, ৭ জুন ২০১৮
সর্বকালের সবচেয়ে বড় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি দেশের ৪৭তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ১৮তম এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বাদশ বাজেট প্রস্তাব।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে-বিনিয়োগকারীদের টানতে নতুন বছরের বাজেটে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক খাতে করহার আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছেন মুহিত।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরোপিত কর বিদ্যমান ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে।
আর অতালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরোপিত কর বিদ্যমান ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া অন্য সব ধরনের কোম্পানির ক্ষেত্রে আরোপিত করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলে থাকেন আমাদের কর্পোরেট করহার খুব বেশি। কথাটি ঠিক নয়। পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় যা বেশ কম। এছাড়া, আমাদের করহার বৈশ্বিক গড়হার (২৪.২৯ শতাংশ) এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
তিনি বলেন, তবে ব্যাংকিং খাতের করহার কিছুটা বেশি হওয়ায় আমি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ২.৫ শতাংশ হ্রাস করার প্রস্তাব করছি। এতে এ খাত হতে রাজস্ব কিছুটা কমলেও বিনিয়োগকারীদের প্রতি ইতিবাচক বার্তা যাবে।”
অন্যান্য কোম্পানি করহার অপরিবর্তিত রাখার কথা জানিয়ে এম এ মুহিত বলেন, মোটামুটিভাবে বর্তমান সর্বোচ্চ করহার হবে বাস্তবে ৪০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় হারটি হবে ৩৭.৫ শতাংশ। একমাত্র তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ও নন-পাবলিকলি ট্রেডেড মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিরা এর চেয়ে উচ্চহারে কর দেবেন।
/ এআর /
আরও পড়ুন