ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ব্যয় বাড়ছে ২৪ শতাংশ
প্রকাশিত : ২০:২৮, ৯ জুন ২০২২
আগের তুলনায় বাজেটে ভর্তুকি কমানোর পরিকল্পনা থাকলেও মহামারী আর যুদ্ধের ধাক্কায় মূল্যস্ফীতির আঁচ থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এবারও ভর্তুকিতে জোর দিতে হচ্ছে সরকারকে।
জ্বালানি ও সারে ভর্তুকি এবং প্রণোদানার পরিমাণ বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে ১৯ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বাড়িয়ে আগামী অর্থবছেরে এর আকার করা হয়েছে ৮২ হাজার ৭৪৫ টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
এই হিসাবে নতুন অর্থবছরে ভর্তুকি-প্রণোদনায় সরকারের খরচ বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে ২৩.৮২ শতাংশ বাড়ছে। আন্তর্জাতিকভাবে পণ্যর মূল্যবৃদ্ধিতে ভর্তুকি ও প্রণোদনার প্রস্তাবিত হার আরো ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি, যা মোট দেশেজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থমন্ত্রীর এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মহামারীর অভিঘাত পেরিয়ে বাংলাদেশকে আবার উন্নয়নের মহাসড়কে ফিরিয়ে নেওয়া।
বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছিল ছিল ৫৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের ভর্তুকি বাবদ সরকারের ব্যয় বেড়ে গেছে।
তাই ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ব্যয়ের প্রাক্কলন বেড়ে ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা হয়েছে, যা জিডিপির ১.৭০ শতাংশ।’
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সরকারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস ও সারের মূল্যের সাম্প্রতিক যে গতিপ্রকৃতি তাতে (আগামী অর্থবছরের) ভর্তুকি ব্যয় আরও (৮২ হাজার ৭৪৫ টাকার চেয়েও) ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যবস্থাপনায় একটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।”
আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে মুস্তফা কামাল যে ছয়টি বিষয়কে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তার মধ্যে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ‘মূল্যবৃদ্ধিজনিত বর্ধিত ভর্তুকির জন্য’ অর্থের সংস্থানকে।
গত কয়েক বছর ধরে কৃষিখাতের যে অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে, তা আরও বেগবান করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গবেষণা ও সম্প্রসারণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন এবং সারে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এমএম/
আরও পড়ুন